ভাড়া বাড়িয়ে ৭ জেলায় চলতে পারে বাস

Advertisement

Advertisement

তৃতীয় দফায় লকডাউন ঘোষণার দিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছিল, ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে গ্রিন জোনে চালানো যাবে বাস। এরপরই গণ পরিবহনকে সচল করতে উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সরকারি বিধি মেনে বাস চালাতে প্রত্যেক যাত্রীকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বজায় রাখতে হবে সামাজিক দূরত্ব বিধিও। একইসঙ্গে বাসের যাত্রী সংখ্যাও বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, ২০ জনের বেশি যাত্রী নেওয়া যাবে না বাসে।

Advertisement

গত ৪ ঠা মে, সোমবার থেকে গ্রিন জোনে বাস চলাচলে ছাড় মিললেও রাস্তায় নামেনি বাস। গ্রিন জোনে থাকা ঝাড়গ্রাম জেলা বাস মালিক সংগঠনের সম্পাদক দিলীপ পাল জানিয়েছিলেন, কম যাত্রী নিয়ে বাস চালাতে আগ্রহী নয় মালিকরা। তেলের দাম ও কর্মচারীদের খরচ তুলতে না পারার আশঙ্কায় বাস নামায়নি কোন মালিকই। এই অবস্থায় সমস্যা মেটাতে মাঠে নেমেছে পরিবহন দপ্তর। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই দিনাজপুর, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের বাস মালিক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পরিবহন দপ্তরের আধিকারিকরা। উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা। ছিলেন সরকারি বাস ডিপোর আধিকারিকরাও।

Advertisement

মাত্র ২০ জন যাত্রী বাস চালানো হলে যে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে, তা এই বৈঠকে তুলে ধরেন বেসরকারি মালিক সংগঠন। বিশাল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি কিভাবে সামাল দেওয়া যাবে তা প্রশাসনের কাছে কাছে জানতে চান সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এরপরই বৈঠকে বাস ভাড়া কিছুটা বাড়ানোর কথা বলেন সরকারি আধিকারিকরা। বাস প্রায় দ্বিগুণ পর্যন্ত বাড়িয়ে এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ব্যাপারে সায় দেয় পরিবহন দপ্তর। তবে কোন পরিস্থিতিতেই দ্বিগুণের বেশি ভাড়া বাড়ানো যাবে না বলে জানিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।

Advertisement

Recent Posts