Categories: অফবিট

আরো বাড়বে গ্রীষ্মের প্রভাব, টানা ৬ মাস থাকবে শুধুই গ্রীষ্ম

জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে যাতে জানা গিয়েছে ২১০০ সালে সালে গ্রীষ্মের তাপমাত্রা অনেকটা বেড়ে যাবে।

Advertisement

Advertisement

বিশ্ব উষ্ণায়নের মাথায় তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। প্রবল সূর্যের তাপের কারণে গ্রীষ্মকালে অর্থাৎ এপ্রিল-মে মাসে সকলের অবস্থা থাকে ওষ্ঠাগত। আর এবারে দীর্ঘ ৮০ বছর পরে পরিবেশের ঋতুগুলো একেবারে বদলে যেতে চলেছে। এবারে পৃথিবীতে পড়বে টানা ছয় মাস গ্রীষ্মকাল। এছাড়াও শীতকালের আয়ু অনেকটাই কমে যাবে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে যাতে জানা গিয়েছে ২১০০ সালে সালে গ্রীষ্মের তাপমাত্রা অনেকটা বেড়ে যাবে। অন্যদিকে উত্তর গোলার্ধে আবার শীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা অনেকটা কমে যেতে চলেছে।

Advertisement

গবেষকরা জানিয়েছেন ঋতুগুলির মেয়াদ আগের থেকে অনেকটা পাল্টে যাবে। শুধুমাত্র যে উত্তর গোলার্ধে বদলাবে তারা নয় দক্ষিণ গোলার্ধেও একই রকম অবস্থা দাঁড়াবে।ঋতু গুলির সময় এবং তাদের মেয়াদের ব্যাপক পরিবর্তনের প্রভাব বিশ্বজুড়ে হতে চলেছে এবং তাপপ্রবাহের তীব্রতা আরও বাড়বে। উদ্বেগজনক ভাবে এই সমস্ত ঘটনা, দাবানল এবং আরও বিভিন্ন কারণে ক্ষতি হবে কৃষিকাজে। ফসল উৎপাদনের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।

Advertisement

অন্যদিকে পৃথিবীর ঋতু পরিবর্তনের প্রভাব আরো বাড়বে। জানানো হয়েছে ক্রান্তীয় অঞ্চলের দেশগুলির মশা আরো বেশি পরিমাণে মানুষের পক্ষে ক্ষতিকারক হয়ে উঠবে। এছাড়াও সেই মশাদের গতিপথ হবে আরও উত্তরমুখী। উত্তর গোলার্ধের দেশগুলিতে এই সমস্ত মশা আরো বেশি পরিমাণে দেখা যাবে। গ্রীষ্মের তীব্রতা বাড়ছে, তাই এই সময় আরো রোগের পরিমাণ বাড়তে শুরু করবে।

Advertisement

শুরু হবে ভাইরাসঘটিত নানা ধরনের সংক্রমণ। এছাড়াও তাতে নতুন আরো মাত্রা যোগ করবে মশাদের প্রভাব। এছাড়াও করোনাভাইরাস এর প্রভাব আরো বেশি হয়ে উঠতে পারে। গবেষকরা ২০১১ সাল পর্যন্ত পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখে এই সিদ্ধান্তে অবতীর্ণ হয়েছেন, উত্তর গোলার্ধের দেশে গ্রীষ্মকালের তাপমাত্রা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে আগের থেকে। সুতরাং এই পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।