রাতের অন্ধকারে টেটের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, কাটমানির বিনিময়ে দেওয়া হয়েছে চাকরি, বক্তব্য শুভেন্দুর

বাংলায় চাকরির হাল-হকিকত, বেকারত্ব নিয়ে আবারও শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

Advertisement

Advertisement

বাংলায় চাকরির হাল-হকিকত, বেকারত্ব নিয়ে আবারও শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শনিবার তথা আজ কোলাঘাটের সভা থেকে টেটে নিয়োগ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগও করলেন এই গেরুয়া শিবিরের নেতা। তার দাবি,”রাতের অন্ধকারে মোবাইলে মেসেজ করে টেটে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। কাটমানির বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন নেতানেত্রীর আত্মীয়স্বজন।”

Advertisement

একই সাথে তার অভিযোগ, শাসক শিবিরের ১০ বছরের শাসক কালে সাড়ে ৫ লাখ স্থায়ী চাকরির শূন্যপদ অবলুপ্ত করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনাধীন বাংলায় ২ কোটি বেকার তৈরি হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী এই দিন অভিযোগ করে বলেন,”বাম্ফ্রন্টের সময় যে শূন্যপদ ছিল তা বাড়ানো তো হলই না, উল্টে সাড়ে ৫ লক্ষ স্থায়ী চাকরির শূন্যপদ অবলুপ্ত করেছে এই সরকার। বদলে মিলেছে কয়েক হাজার চুক্তিভিত্তিক চাকরি। না আছে প্রভিডেন্ট ফান্ড, না আছে হেলথ স্কিম। কর্মচারী হিসেবে তারা স্বীকৃতিও পান না। এদের বর্তমান অথবা ভবিষ্যত কিছুই নেই। এটাই কি বাংলার মানুষ চেয়েছিল।”

Advertisement

বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, “২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ১ কোটি ২০ লক্ষ বেকার নথিভুক্ত ছিল আর আজ মাননীয়ার শাসনে ২ কোটি বেকার তৈরি হয়েছে বাংলায়। ২০১৪ সালের পর স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা হল না, শিক্ষক–শিক্ষিকা নিয়োগ হল না।” এর পরই গুরুতর অভিযোগ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “গত দু’‌দিন আগে রাতের অন্ধকারে ১৬ হাজার ৭০০ জনকে মোবাইলে মেসেজ করে টেটে নিয়োগপত্র দেওয়া হল। কাটমানির বিনিময়ে নেতাদের আত্মীয়স্বজনকে দেওয়া হয়েছে এই চাকরি।”‌

Advertisement

এই দিন শুভেন্দুর বক্তৃতায় উঠে আসে সিঙ্গুরের কথাও। গেরুয়া শিবিরের নেতার অভিযোগ,”সিঙ্গুর কৃষকরাও জমিতে চাষ করতে পারল না আর সেখানে কারখানাও তৈরি করা হল না। বেকার যুবকদের চাকরিও দেওয়া হল না।” শুভেন্দু এইদিন আরও বলেন,”বাংলার সরকার কেবল ‘যুবশ্রী’ প্রকল্পে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক চালু করেছিল।”