ভ্যাকসিন দুর্নীতিতে সরাসরি মমতা এবং আলাপনের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন শুভেন্দু

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেনশন করে টুইট করে শুভেন্দু অধিকারী প্যানডেমিক কমিটির রিপোর্ট সর্বসমক্ষে আনার দাবি রেখেছেন

Advertisement

Advertisement

টিকা জালিয়াতি কাণ্ডে এবারে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন মুখ্য সচিব তথা বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কে বিধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই টিকা কাণ্ডে ধৃত দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে প্রভাবশালী যোগ থাকার সূত্র খুঁজে পেয়েছেন রাজ্য পুলিশের তদন্তকারী দল। তার সাথে সাথেই তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে দেবাঞ্জন দেবের একটা সম্পর্কের গুঞ্জন উঠেছে বেশ কিছুদিন ধরে। তার মধ্যেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস এবং দেবাঞ্জন কে নিয়ে কটাক্ষ করলেন সরাসরি। এই টিকা কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে সরাসরি বিধলেন শুভেন্দু।

Advertisement

শুভেন্দু লিখছেন, ” ২০০০ কোটি টাকার প্যানডেমিক পারচেজ স্ক্যাম কমিটির রিপোর্ট সর্বসমক্ষে আনতে হবে রাজ্য সরকারকে। এই রিপোর্ট লুকানো হচ্ছে কেন? আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এর নাম উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ” ওই কমিটির নেতৃত্বে ছিলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই অবিলম্বে স্বচ্ছতার সঙ্গে ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনতে হবে।”

Advertisement

Advertisement

আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের পর এবং তার পরবর্তীতে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এর মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা পদে আসীন হওয়ার ঘটনা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যখন দেবাঞ্জন তার এই সমস্ত ব্যবসা শুরু করছিলেন সেই সময় রাজ্যের মুখ্যসচিব ছিলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতামত, এই বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে গুটি সাজাতে পারে বিজেপি।

অন্যদিকে, এই দেবাঞ্জন এর সঙ্গে বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতার যোগসাজশের গন্ধ পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। ফিরহাদ হাকিম এর সঙ্গে ছবি রয়েছে দেবাঞ্জন এর। শুধু তাই নয় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় নামের সঙ্গে ফলকে দেবাঞ্জনের নাম রয়েছে। সব মিলিয়ে এই দেবাঞ্জন কাণ্ডে তৃণমূলের যোগসাজশের সম্ভাবনা আছে বলে মতামত অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। কিন্তু তৃণমূল নেতারা এই দাবি সম্পূর্ণরূপে খন্ডন করেছেন।

তৃণমূল নেতারা বলছেন, যে কোন অনুষ্ঠানে এসে কোন ব্যক্তি যদি পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলেন তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা থাকবে এরকম কোন কথা নেই। অনেক সাধারণ মানুষ এরকম ভাবে ছবি তোলে, তাদের আসল পরিচয় জানা সবসময় সম্ভব নয়। যদিও, এই বিষয়টি আলোচনা সাপেক্ষ, তবে সম্ভাবনার কথা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না রাজনৈতিক মহল। আম জনতার মধ্যে কিভাবে অসাধু ব্যক্তি ঢুকে রয়েছেন, সেটা কোনভাবেই আগে থেকে বোঝা সম্ভব নয়। তবে এই তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে দেবাঞ্জনের যোগসাজশ কতটা ঘনিষ্ঠ সেই নিয়ে বর্তমানে খোঁজখবর চালাচ্ছে পুলিশ।

Recent Posts