প্রথমে নন্দীগ্রাম, পরে নেতাই, পথ বন্ধ করার হুমকি দিয়েও রোখা গেল না শুভেন্দুকে

প্রথমে নন্দীগ্রাম বন্ধের হুমকি, তার পর নেতাই, এই সব করেও শাসক শিবির আটকাতে পারল না শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari)

Advertisement

Advertisement

ঘড়ির কাঁটা রাত ১২ টা পেরিয়ে যেতেই বুধবার নন্দীগ্রামে পৌঁছে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী(Suvendu Adhikari)। তার পরে ভোর হওয়ার অপেক্ষা মাত্র। বৃহস্পতিবার সাত সকালে নেতাই পৌঁছে গেলেন তরুণ গেরুয়া শিবিরের নেতা।

Advertisement

৭ ই জানুয়ারি যেমন নন্দীগ্রামের প্রথম শহিদ দিবস তেমন ২০১১ সালের এই দিনেই একের পর এক নেতাইতে গণহত্যা হয়েছিল। সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাতের বাড়ি থেকে চলা মুহুর্মুহু গুলিতে নেতাইয়ের সাধারণ নজন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছিল। এইদিন সকালে গিয়ে শহিদ বেদীতে মালা দেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শাসক শিবিরে থাকার সময় থেকে প্রতিবার তিনিই যেতেন নেতাইতে। সেই কর্মসূচি হতো শহিদ স্মৃতিরক্ষা কমিটির ব্যানারে। এই বারও তার অন্যথা হয়নি।

Advertisement

তবে এই বার পরিস্থিতির গুণগত পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। শুভেন্দু এখন রয়েছে গেরুয়া শিবিরে। তাই পাল্টা শাসক শিবিরও কর্মসূচি ডেকেছে। এইদিন দুপুরে লালগড়ে যাওয়ার কথা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chaterjee) এবং মদন মিত্রের(Madan Mitra)। তার আগে লালগড়ের মাটি থেকে ডাক দেওয়া হয়েছিল ভাঙাবেড়িয়া থেকে লালগড় যাওয়ার পথ আটকে দেওয়া হবে। যার ফলে শুভেন্দু ঢুকতে পারবেন না। ঠিক যেমন করে বুধবার রাতে নন্দীগ্রাম যাওয়ার পথে দূর থেকে জনা পঞ্চাশেকের জমায়েত পথ আটকানোর হুমকি দিচ্ছিল।

Advertisement

এইদিন শুভেন্দু বলেন,”নেতাইয়ের মানুষের সাথে আমার আত্মিক সম্পর্ক।” এইদিন তিনি ছত্রধর মাহাতোর নাম না করেই বলেন,”কেউ যদি ১০ বছর জেলে থেকে সেই সম্পর্ক ছিঁড়ে দেবেন ভাবে, তবে বলে রাখি সেটা সহজ হবেনা। এই সব লোকের জন্য নেতাইতে মানুষ মারা গিয়েছিল। শুধু সিপিএমকে দোষ দিলে হবেনা। জনসাধারণের কমিটির নামে এই এলাকায় কি বিশৃঙ্খলা চলেছিল তা সকলেই জানেন।”

শুভেন্দু এইদিন আরও বলেন,”আগের বার যখন এসেছিলাম তখন এখানকার মানুষ আমার কাছে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন। আমার সীমিত ক্ষমতা অনুযায়ী মানুষের বাড়ি করে দেওয়া, সেলাই মেশিন কিনে দেওয়া এই সব করেছি। যতটুকু পেরেছি করেছি। সরকার কিছুই দেয়নি।”