দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করেই ছাড়বো, দল ভাঙ্গনের আশঙ্কায় হুংকার শুভেন্দুর

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী বললেন, এবারে দলত্যাগ বিরোধী আইন মেনেই রদবদল করতে হবে এবং বিরোধী দলনেতা হিসেবে তিনি এই কাজটা করে দেখাবেন

Advertisement

Advertisement

সম্প্রতি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন বর্ষিয়ান নেতা মুকুল রায়। তিনি এবারে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক ছিলেন। কিন্তু দল ত্যাগ করলেও এখনও পর্যন্ত বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেননি মুকুল রায়। এই নিয়ে এবারে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে সরব হলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, “মুকুলবাবু কে দিয়ে শুরু করলেন। আইনের উর্দ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিংবা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নয়। ভারতের আইন মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এর সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলছি। দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করে ছাড়বো।”

Advertisement

মুকুল রায় তৃণমূলে যোগদান এর পর থেকেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপি এবং তৃণমূল এর মধ্যে নতুন করে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। মুকুলের যোগদান মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, আরো অনেকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসবে। এই মন্তব্যের পরেই অনেকে মনে করছেন আবারো দল ভাঙ্গানোর খেলা শুরু করেছেন মুকুল রায়। তাই এবারে দলত্যাগ বিরোধী আইন নিয়ে এসে শুভেন্দু অধিকারী দলত্যাগী এদের শায়েস্তা করতে চাইছেন।

Advertisement

শুভেন্দু বললেন, “কে যাবে না যাবে সেটা বড় কথা নয়। মাননীয়া এবং তার দল শুনে রাখুন স্পিকার হাতে থাকায় দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর হয়নি। আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে বলছি, আমি পদ্ধতি জানি। আমি কার্যকর করে দেখাবো। ২-৩ মাস সময় লাগতে পারে কিন্তু দলত্যাগ বিরোধী আইন মেনে রদবদল করতে হবে এরপর থেকে।”

Advertisement

অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী বললেন, “২০১২ সাল থেকে বিধায়ক ভাঙ্গা এবং বিরোধী দলকে শেষ করা শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগে কংগ্রেস এবং সিপিএম ওনার টার্গেট ছিল কিন্তু এখন টার্গেট হয়েছে বিজেপি। এটা ওনার দীর্ঘদিনের রোগ। উনার রাজত্বে উনি কোন বিরোধী শক্তিকে রাখতে চাইছেন না। গণতন্ত্র মানেন না। তাই উনি স্কুলের নির্বাচন তুলে দিয়েছেন। ৪ বছর কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচন করেননি। ২ থেকে ৩ বছর ধরে ১১০টি পুরসভা নির্বাচন হয়নি। যেখানে হয়েছে সেখানে পৌরসভা নির্বাচনের নামে প্রহসন এবং লুট করেছেন। গণনাকেন্দ্র দখল করেছেন উনি।” তবে এর আগেও তৃণমূল কংগ্রেসে বহু বিধায়ক এসেছেন। মানস ভুঁইয়ার মতো বেশ কিছু বিধায়ক আসার সময় দলত্যাগ বিরোধী আইনে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কিন্তু এবারে ওই প্রসঙ্গ তুলে দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করে ছাড়বেন বলে হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।