বিরোধী দলের মর্যাদা অটুট রাখতে মরিয়া বিজেপি, একের পর এক বিধায়ককে ফোন শুভেন্দুর

শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি দলনেতা হিসেবে নিজে প্রত্যেক বিক্ষুব্ধ বিধায়ক কে ফোন করে তাদের সমস্ত সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিচ্ছেন বলে খবর

Advertisement

Advertisement

বিরোধীদল অটুট রাখার জন্য এবার মরিয়া হয়ে উঠলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুকুল রায় তৃণমূলে যোগদানের পর থেকেই শোনা যাচ্ছে তিনি নিজে বহু বিক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়কদের ফোন করছেন এবং তাদেরকে তৃণমূলে যোগদান করার আহ্বান জানাচ্ছেন। মুকুলের এই দল ভালো খেলার ব্যাপারে খুব ভালোমতোই জানেন শুভেন্দু এবং দিলীপরা। কারণ তিনি বিজেপিতে যাওয়ার পরে এভাবেই বহু বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। আর এবারে তৃণমূলে যোগদান করার পর বিজেপি থেকে দল ভাঙ্গিয়ে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের তৃণমূলে নিয়ে আসতে পারেন মুকুল রায় বলে জানা যাচ্ছে।

Advertisement

এবারে এই বিষয়টির দিকে নিজের খেয়াল রাখা শুরু করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা হিসেবে তিনি নিজে প্রত্যেক বিক্ষুব্ধ বিধায়ককে ফোন করেছেন। যাকে যাকে তার মনে হয়েছে তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন তাদেরকে নিজে থেকে ফোন করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন বিধায়কের কাছে শুভেন্দু অধিকারীর ফোন গিয়েছে বলে খবর। বিধায়কের ফোন করে তিনি তাদের সাথে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলতে চেয়েছেন এবং তাদের সমস্ত সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement

অন্যদিকে আবার দল বদল প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্য রাখলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলছেন, ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে কোন বিজেপি এমপি এবং এমএলএ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করবে না। এসমস্ত গুজব ছড়ানো হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের দ্বারা। অন্যদিকে আবার কালিয়াগঞ্জ এর বিজেপি বিধায়ক কে নিয়ে শুরু হয়েছে দলবদলে জল্পনা।

Advertisement

সম্প্রতি জানা গেছে তিনি বিজেপির একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। তবে, তিনি যুক্তি সাজিয়েছেন, তিনি শুধুমাত্র নিজের ব্যক্তিগত কারণেই গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। বিজেপির কালিয়াগঞ্জ শাখায় ১০০ এর বেশি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে তাই একটি গ্রুপ থেকে তিনি বেরিয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে সূত্র মারফত খবর পাওয়া যাচ্ছে, বিধায়ক হয়ে যাবার পরে নিজের এলাকার বুনিয়াদপুর থেকে কালিয়াগঞ্জ পর্যন্ত সড়ক সম্প্রসারণের বৈঠকে তাকে ডাকা হয়নি। তাই হয়তো তিনি গ্রুপ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং তারপর থেকেই দলবদলে জল্পনা শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে, সৌমেন রায় আপাতত জানিয়েছেন যে গ্রুপটি থেকে তিনি বেরিয়ে আসেন সেটি একটি মিডিয়া গ্রুপ এবং সেখানে তার থাকা না থাকা সমান। এবং তিনি আরও জানিয়েছেন তিনি নিজেও হোয়াটসঅ্যাপ ঠিক করে চালাতে জানেন না, ভুলবশত বেরিয়ে গিয়েছেন। সৌমেন রায় এর হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

Recent Posts