প্রকাশ্যে এল নতুন চ্যাট, সুশান্তের দিদির নামে উঠে আসল বড়সড় অভিযোগ, জানুন কী?

Advertisement

Advertisement

সুশান্ত কেসে একের পর এক ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। মুম্বাই পুলিশের হাত থেকে এই কেস এখন এসেছে সিবিআই-এর হাতে। সুশান্তের গোটা টিমকে জেরা করেছ সিবিআই। উঠে এসেছে ভয়ঙ্কর তথ্য, ফাঁস হয়েছে বহু গোপন চ্যাট ও গোপন প্রেম। এমনকি ড্রাগ মাফিয়াদের নামও উঠে এসেছে এই কেসে। সুশান্ত সেদিন আত্মহত্যা করেছিল নাকি খুন হয়েছিলেন সেই ব্যপারে তদন্ত চলছে।

Advertisement

এই ব্যপারে গোটা বলিউড চুপ থাকলেও, কঙ্গনা রানাউত গর্জে উঠেছিলেন। স্পষ্টত জানিয়েছেন যে বলিউডের বেশীরভাগ মুখ মাদক আসক্ত। এছাড়াও এক ব্যক্তি জানান বলিউডে ড্রাগ প্রবেশ করে সড়ক পথে। যদিও এই ব্যক্তি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। মুম্বাইয়ের বিলাসবহুল জায়গায় এই ধরনের নিষিদ্ধ মাদক পাচার হয় এবং বিভিন্ন হাউস পার্টিতে মাদকের যথেচ্ছ ব্যবহার হয়। সুশান্তের এই কেসে শুধু সিবিআই নয়, জড়িয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো এবং ইডি।

Advertisement

সুশান্ত মামলায় এখনও পর্যন্ত জেরা করা হয়েছে রিয়া, সৌভিক, নীরজ, সিদ্ধার্থ, সন্দীপ ও স্যামুয়েল মিরান্ডাকে। ইতিমধ্যে তলব করা হয়েছে সুশান্তের দুই দিদিকেও। যেদিন রিয়া সুশান্তের বাড়ি ছেড়ে চলে যায় সেদিন সুশান্তের দিদি এসে থাকা শুরু করে। ইন্ডিয়া টুডে কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিয়া জানায় যে সুশান্তের সঙ্গে ওর দিদিদের সম্পর্ক খুব ভালো ছিল না এবং সুশান্তের পরিবারের লোকজন রিয়াকে পছন্দ করত না। এমত অবস্থায় সুশান্তের দিদিদের দাবি যে তাঁদের ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক খুব ভালোই ছিল। তবে কি সুশান্তের দিদিরা তাঁদের ভাইয়ের মানসিক অবস্থার কথা জানতো? উঠছে নানান প্রশ্ন। এখানে কে কাকে ফাসাচ্ছে তা বোঝা মুশকিল, তবে রিয়ার মত সুশান্তের দিদির করা হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ফাঁস হল। যেখানে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে সুশান্তের দিদি সুশান্তের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা নিয়ে ওয়াকিবহল এবং তিনিও ওষুধ প্রেস্ক্রাইব করতেন।

Advertisement

ইতিমধ্যে, সিবিআই এবং ইডিকে রিয়া জানিয়েছেন যে সুশান্তের দিদি প্রিয়ঙ্কার কথা মত দিল্লির রামমনোহরলোহিয়া হাসপাতালের এক ডাক্তার সুশান্তের ওষুধ পরিবর্তন করে দিয়েছিলেন, এবং গত ৮ জুন সে কারণেই নাকি সুশান্তের সঙ্গে ঝামেলা হয় তাঁর। এখানে, রিয়ার আইনজীবীর প্রশ্ন, মুম্বইয়ে থাকা সুশান্তকে পর্যবেক্ষণ না করে কী করে একজন ডাক্তার ওষুধ দিয়ে দিতে পারেন? দেখে নিন সেই মেসেজের প্রমাণ।

এখানে, যে তিনটি ওষুধ প্রিয়ঙ্কা তাঁর ভাইকে নিতে বলেছিলেন তার মধ্যে লিব্রিয়াম হল হিপ্নোটিক মেডিসিন যা অনিদ্রা, দুশ্চিন্তা এবং মদ ও অন্যান্য মাদকের আসক্তি কাটাতে ব্যবহার করা হয়। তবে প্রিয়াঙ্কা জানতেন যে তাঁর ভাই মাদক সেবন করত? যাইহোক, সুশান্ত এই চ্যাটের রিপ্লাইয়ে জানান যে প্রেসক্রিপশন ছাড়া এই সব ওষুধ পাওয়া যাবে না। তখন প্রিয়ঙ্কা সুশান্তকে বলেন, তাঁর এক বন্ধু ডাক্তার প্রেসক্রিপশন তৈরি করে দেবে। পাশপাশি এ-ও জানান, মুম্বইয়ের অন্য ডাক্তারের সঙ্গেও যোগাযোগ করিয়ে দেবেন প্রিয়ঙ্কার সেই বন্ধুও। প্রিয়ঙ্কা জানান, সব গোপনই থাকবে।

Recent Posts