বাংলার দায়িত্ব পেলেন বিজেপির ত্রিপুরা বিজয়ের মেরুদন্ড, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রশংসা করে শুরু কর্মসূচি

Advertisement

Advertisement

বাংলায় আগমন ঘটল বিজেপির ত্রিপুরা জয়ের অন্যতম কাণ্ডারী সুনীল দেওধর এর। বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির তরফ থেকে তাঁকে এবারের নির্বাচনে তিনটি জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কলকাতায় এসে তিনি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ভূয়শী প্রশংসা করেছেন। ত্রিপুরাতে বামফ্রন্ট কে সরিয়ে বিজেপি সরকার গঠন করার অন্যতম ভূমিকা গ্রহণ করেছিলেন দেওধর। লোকসভা নির্বাচনের আগেও বাংলায় এসেছিলেন তিনি। তার হাতেই ছিল সে বারে বাংলার দায়িত্ব। সেই সময় অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, লোকসভা ভোটে বাংলায় তাকে প্রয়োজন। সেই সময় তিনি বাংলার ভোট প্রচারের দেখভাল করার পাশাপাশি কলকাতা উত্তর, কলকাতা দক্ষিণ, যাদবপুর এবং দমদম কেন্দ্রের প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন। যদিও সেখানে কোন আসনই দখল করতে পারেনি বিজেপি।

Advertisement

কলকাতার পাশাপাশি তিনি গুজরাট এবং বারাণসীতেও তার প্রচার চালিয়ে ছিলেন। ২০১৩ সালে গুজরাটে প্রচার চালানোর সময় তিনি বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজরে আসেন। তারপর ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে বারানসী কেন্দ্রে মূল প্রচারকের ভূমিকা সামলেছিলেন সুনীল। তবে, তার সবথেকে বড় কৃতিত্ব ছিল ত্রিপুরা চলে আসা দীর্ঘদিনের বাম শাসনকে ধ্বংস করে বিজেপি সরকার স্থাপন করা।

Advertisement

২০১৮ সালে ত্রিপুরা নির্বাচনের প্রায় চার বছর আগে থেকে ত্রিপুরা জেলার দায়িত্ব যায় দেওধর এর কাছে। সেখানে গিয়ে তিনি ত্রিপুরার মানুষের চালচলন, সংস্কৃতি, আদব-কায়দা, ভাষা সবকিছু রপ্ত করেন। এমনকি ত্রিপুরার আদিবাসীদের ককবরক ভাষাও তিনি রপ্ত করেছিলেন। তার মূল মন্ত্র ছিল অহংকার, গুরু, চামচা এবং মস্তি এই চারটি থেকে দলের সকলকে বিরত থাকতে হবে।

Advertisement

দায়িত্ব পাওয়ার পরেই সুনীল দেওধর অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী। তার মতে, ত্রিপুরা বাংলার থেকে অনেকটা ছোট রাজ্য হলেও সেখানকার সংস্কৃতির সাথে পশ্চিমবঙ্গের সংস্কৃতির মিল রয়েছে। ত্রিপুরার ভাষা আর পশ্চিমবঙ্গের ভাষা প্রায় এক। তাই, পশ্চিমবঙ্গের মানুষের সাথে বাংলা ভাষায় কথা বলতে তার সুবিধা হবে। তিনি বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করছেন তা একেবারে সিপিএম স্টাইলে। তাই ত্রিপুরার মানুষের কথা তিনি বাংলার মানুষের সাথে ভাগ করে নিতে পারবেন।

এবারে বাংলাতে তাকে দেওয়া হয়েছে তিনটি জেলার দায়িত্ব। হাওড়া, হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের দায়িত্বে আছেন তিনি। ইতিমধ্যেই বঙ্গে এসে তিনি বিজেপির টার্গেট জানিয়ে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন বাংলায় বিজেপি ২০০ টি আসন জিতবে। অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির প্রশংসা করার পাশাপাশি তিনি নিজের টার্গেট জানিয়েছেন। সুনীল জানিয়েছেন, এবছরের বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি তিন-চতুর্থাংশ আসনে জয়লাভ করতে চলেছে। এবং এটাই তাদের টার্গেট।