ইলেকট্রিক সাইকেল চালালে পাবেন প্রতিমাসে ৫,৫০০ টাকা করে সাবসিডি, জানুন বিস্তারিত

দিল্লি সরকারের তরফ থেকে তাদের ইলেক্ট্রিক ভেহিকেল নীতি পরিবর্তন করা হয়েছে

Advertisement

Advertisement

বর্তমান ইলেকট্রিক স্কুটি এবং ইলেকট্রিক বাইক এর পাশাপাশি ইলেকট্রিক সাইকেল ভারতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি যানবাহন হয়ে উঠেছে। সবাই বর্তমানে পরিবেশ সম্পর্কে বেশ সচেতন। এই কারণেই যাতে পরিবেশ দূষণ না হয় সেইজন্য অনেকেই কিনতে চাইছেন ইলেকট্রিক সাইকেল। এই সাইকেল যেমন তাড়াতাড়ি চলে তেমনি এই সাইকেল চার্জ দিতেও খুব একটা বেশি সময় লাগে না। তবে আপনারা কি জানেন, দিল্লিতে যদি আপনি ইলেকট্রিক সাইকেল কেনেন তাহলে আপনাকে আলাদা করে সাবসিডি দেওয়া হবে। হ্যাঁ আপনি ঠিকই দেখছেন, বৃহস্পতিবার দিল্লি সরকারের তরফ থেকে তাদের ইলেক্ট্রিক ভেহিকেল সাবসিডি নীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। এই নতুন নীতি অনুসারে, দিল্লির প্রথম ১০,০০০ ইলেকট্রিক সাইকেল ক্রেতার জন্য ৫,৫০০ টাকা সাবসিডি দেওয়া হবে দিল্লি সরকারের তরফ থেকে।

Advertisement

রাজ্য সরকারের এই নতুন নীতি অনুযায়ী, প্রথম ১,০০০ ক্রেতাকে অতিরিক্ত ২,০০০ টাকা সাবসিডি দেওয়া হবে। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে জন্য ব্যবহার হওয়া ভারী শুল্ক বিশিষ্ট কার্গো ইলেকট্রিক সাইকেল এবং ই-কার্ট যদি আপনি ক্রয় করেন তাহলে প্রথম ৫,০০০ ক্রেতাকে ১৫,০০০ টাকা করে সাবসিডি দেওয়া হবে।

Advertisement

দিল্লির পরিবহনমন্ত্রী কৈলাশ গেহলোট জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে যারা ইলেকট্রিক কার্ট কিনে থাকেন তাদের জন্য সাবসিডি প্রদান করা হতো। তবে এবার থেকে, এই ধরনের ইলেকট্রিক কার্ট ব্যবহার করা কোম্পানিগুলিকেও ৩০,০০০ টাকার সাবসিডি দেওয়া হবে। তবে আপনাদের জানিয়ে রাখি, দিল্লি ইলেক্ট্রিক ভেহিকেল নীতি শুধুমাত্র দিল্লিতে কাজ করবে। দিল্লি ছাড়া অন্য কোন রাজ্যে এই নীতি কাজ করবে না।

Advertisement

দিল্লি সরকার মনে করছে, এই নতুন নীতির ফলে মানুষ ইলেকট্রিক সাইকেলের দিকে আরো বেশি করে আকৃষ্ট হবে এবং আরো বেশি করে ইলেকট্রিক সাইকেল এবং ইলেকট্রিক যানবাহন সকলে কিনতে চাইবে। হিরো ইলেকট্রিক এর সিইও আদিত্য মুঞ্জাল দিল্লি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, এই নীতি আগামী ভবিষ্যৎ এ দিল্লির জনতাকে ইলেকট্রিক সাইকেলের দিকে আরো বেশি আকৃষ্ট করবে। এর ফলে পরিবেশ দূষণ যেমন কমবে, তিনি আরো ইলেক্ট্রিক ভেহিকেল কোম্পানি মার্কেটে আসতে পারবে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়ী দুটি দিকেই যদি ইলেকট্রিক গাড়ি ব্যবহার হতে শুরু করে, তাহলে দেশের অর্থনীতিতে গতি আসবে।