বাঙালিকে কাঁদিয়ে চিরঘুম সৌমিত্রের, দেশজুড়ে শোকের ছায়া

Advertisement

Advertisement

ক্ষিত দা যিনি নিজের সর্বস্ব দিয়ে কনিকে উজার করে বলেছিলেন ফাইট কনি ফাইট। ময়দানের মাটি ছেড়ে কোনোদিন উঠবেনা। আগামীকাল বেলা বারোটা পনেরো মিনিটে প্রয়াত হলেন বাংলা অভিনয় জগতের শেষ নক্ষত্র সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। শেষ বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। তিনি সবাইকে ছেড়ে স্ত্রী দীপা চট্টোপাধ্যায় ও দুই পুত্র কন্যা সৌগত এবং পৌলমীকে রেখে চলে দূর দেশে পাড়ি দিলেন।

Advertisement

করোনা আক্রান্ত হয়ে ৬ অক্টোবর থেকে বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি ছিলেন সৌমিত্র। মাত্র ৮দিনেই করোনাকে হারিয়ে দিয়েছিলেন ক্ষিত দা। ১৪ অক্টোবর করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে তাঁর, শারীরিক অবস্থারও উন্নতি হয়। এমনকি হাসপাতাল চত্বরে হাঁটা শুরু করেন।

Advertisement

তবে ২৫ তারিখ হাসপাতাল জানিয়ে দেয়, ভাল নেই দুর্গার অপু । জ্ঞান নেই, চেতনাস্তর নীচে নেমে গিয়েছে। এরপর আস্তে আস্তে কিডনি খারাপ হতে শুরু করে, ডায়ালিসিস হয়, হয় প্লাজমা থেরাপি। কিন্তু করোনার জেরে কো-মর্বিডিটি তিনি কাটিয়ে উঠতে পারেননি। আসতে আসতে কখনো অবস্থার উন্নতি তো কখনো অবনতি হতে থাকে। বিদেশ থেকে অপুর জন্য চিকিৎসক রা আসেন। কিন্তু গতকাল হাসপাতাল জানিয়ে দেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক, তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না। ৩০ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু কোনোরকম রকম উন্নতির লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না এরপর আজ সকালে এল এই দুঃসংবাদ। এরপরই বাংলা ইন্ড্রাস্টিতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কেউ মেনে নিতে পারছেননা ফেলুদার এই মৃত্যু। আজ বারে বারে মনে হচ্ছে তাঁরই উক্তি “জীবন মানে শুধু আসা যাওয়া আর খোঁজা”।

Advertisement