তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের সঙ্গে দেখা করলেন ত্রিপুরা বিজেপি রাজ্য সহ-সভাপতি, যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে?

এই সাক্ষাৎকার নিয়ে কি বলছেন শান্তনু সেন এবং বিজেপি রাজ্য সহ-সভাপতি?

Advertisement

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গের পরে এবারে ত্রিপুরা জয় করতে একেবারে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের পরবর্তী টার্গেট ত্রিপুরা এটা আর বুঝতে বাকি নেই। ইতিমধ্যেই দলের নেতারা বারংবার ত্রিপুরা গিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করছেন, সংগঠন শক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস দাবি তুলছে, বিজেপি কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতারা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছেন ইতিমধ্যেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন বিজেপির পাঁচবারের বিধায়ক জিতেন সরকার নাকি তৃণমূল কংগ্রেসের সাথে যোগাযোগ রাখতে শুরু করেছেন। এ রকমই পরিস্থিতিতে এবারে ত্রিপুরার বিজেপির সহ-সভাপতি অশোক দেববর্মার সঙ্গে দেখা করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন।

Advertisement

তাহলে কি এবারে জিতেন সরকারের পাশাপাশি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করতে চলেছেন অশোক দেববর্মা? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। শান্তনু সেন যদিও এই বিষয়টিকে সম্পূর্ণরূপে একটি সৌজন্য সাক্ষাতকার হিসেবে দাবি করেছেন। কিন্তু তবুও, দলবদলের সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তা কিন্তু নয়। পশ্চিমবঙ্গেও আমরা এরকম দেখেছি, যেখানে প্রথমে সৌজন্য সাক্ষাতকার দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তীকালে বিষয়টি দলবদল পর্যন্ত গিয়েছে। তাই ইতিমধ্যেই অশোক দেব বর্মাকে নিয়ে বেশ সাবধানী হয়ে উঠেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

Advertisement

অন্যদিকে ইতিমধ্যেই সুবল ভৌমিক এর মত দাপুটে কংগ্রেস নেতা তৃণমূলের সদস্য পদ গ্রহণ করে ফেলেছেন। অন্যদিকে ত্রিপুরার প্রাক্তন অধ্যক্ষ তথা পাঁচবারের বিজেপির বিধায়ক জিতেন সরকার তৃণমূলে আসছেন এটা প্রায় পাকা হয়ে গিয়েছে বলা চলে। এরকম পরিস্থিতিতে, অশোক দেববর্মার মত একজন নেতার তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ বিজেপির পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নের সাংবাদিক বৈঠক থেকেও সরাসরি জানিয়েছেন পাঁচবারের ত্রিপুরার বিধায়ক জিতেন সরকার তার বেশ কিছু অনুগামীদের নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করবেন বলে চিঠি লিখেছেন। জিতেন সরকারের তৃণমূলে আসার বিষয়টি কার্যত পাকা হয়ে গিয়েছে বলা চলে।

Advertisement

এরকম একটি পরিস্থিতিতে তৃণমূল সাংসদের সঙ্গে ত্রিপুরা বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি যোগাযোগ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। শান্তনু সেন এর সঙ্গে দেখা করার বিষয়টি নিয়ে এখনো পর্যন্ত অশোক দেববর্মা কোন মন্তব্য করতে না চাইলেও দলবদল এর আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই কাঁপতে শুরু করেছে বিজেপি। অন্যদিকে দিন কয়েক আগে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিজেপির সমস্ত কর্মী এবং নেতাদের উদ্দেশ্যে জানিয়েছিলেন, ‘ত্রিপুরা ভবিষ্যৎ তৃণমূল কংগ্রেস। তাই আপনারা এই দলে যোগ দিন এবং আমাদের সঙ্গে আসুন।’ তবে, এবারে শুধুমাত্র বিষয়টি কর্মীতে থেমে থাকল না বরং সরাসরি ত্রিপুরা রাজ্য বিজেপি সহ-সভাপতি সঙ্গে দেখা করলেন শান্তনু সেন। বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে ত্রিপুরার রাজনীতি তোলপাড় হয়ে উঠেছে।