সলমন-ঐশ্বর্য জুটির ভাঙন কেন? শেষবারের জন্য মুখ খুললেন ঐশ্বর্য রাই

Advertisement

Advertisement

একসময় বলিউডের সবচেয়ে চর্চিত ও জনপ্রিয় জুটি ছিলেন অভিনেতা সলমন খান (salman khan) ও মডেল-অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই (Aishwarya rai)। এই জুটিকে পর্দায় অথবা মঞ্চে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন তাঁদের অনুরাগীরা।  তখন সোশ্যাল মিডিয়ার রমরমা ছিল না। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই জুটির জনপ্রিয়তার নিরিখে অন্য কাপলরা ছিলেন অনেক পিছিয়ে। অ্যাওয়ার্ড ফাংশন থেকে শুরু করে সর্বত্র একসঙ্গে দেখা যেত সলমন-ঐশ্বর্যকে। ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই জানেন, মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার পরেও বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ঐশ্বর্যর কেরিয়ার সেভাবে হালে পানি পাচ্ছিল না। তাঁকে দক্ষিণী ফিল্মে অভিনয় করেই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছিল।  কেবলমাত্র পরিচালক সুভাষ ঘাই (subhash Ghai) ঐশ্বর্যকে তাঁর ফিল্মে কাস্ট করতেন।  কিন্তু অন্যান্য পরিচালকদের আস্থা ছিল না ঐশ্বর্যর উপর। কারণ অভিনেত্রী হিসাবে ঐশ্বর্য উঁচুমানের ছিলেন না।

Advertisement

কিন্তু ঘটনাচক্রে তাঁর আলাপ হয় সলমন খানের সঙ্গে। সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ঐশ্বর্য। সলমনের সুপারিশে ঐশ্বর্য কাজ পেয়েছিলেন সঞ্জয় লীলা ভনশালী (Sanjay leela bhanshali) পরিচালিত ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ফিল্মে।  এই ফিল্মে ঐশ্বর্য ছিলেন নায়িকার ভূমিকায়। ফিল্মে দুই নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করেন অজয় দেবগন (Ajay Devgan) ও সলমন খান।  সলমন-ঐশ্বর্যর অনস্ক্রিন রসায়ন ফিল্মের সাফল্যের সিঁড়ি হলেও এই ফিল্মের সেটেই চিড় ধরে সলমন-ঐশ্বর্যর সম্পর্কে।

Advertisement

ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা যায়, ‘হাম দিল দে চুকে সনম’-এর শুটিং চলাকালীন সলমন ঐশ্বর্যকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।  কিন্তু ঐশ্বর্য তাঁকে জানান, তাঁদের ধর্ম আলাদা। সুতরাং তাঁর পরিবার সলমনকে মেনে নেবেন না।  ঐশ্বর্যর কথায় সলমন রেগে গিয়ে তাঁকে আঘাত করেন। ঐশ্বর্য হাতে চোট পান।  সেই সময় তাঁকে হাতে প্লাস্টার করা অবস্থায় দেখা গিয়েছিল ফিল্মের সেটে। ‘হাম দিল দে চুকে সনম’-এর শুটিং সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর ঐশ্বর্য সিদ্ধান্ত নেন, তিনি সলমনের সঙ্গে আর কাজ করবেন না।  এমনকি ঐশ্বর্য সলমনের বিরুদ্ধে তাঁকে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন।   কিন্তু সলমন ঐশ্বর্যকে ভুলতে পারছিলেন না।  তিনি ঐশ্বর্যর বাসস্থান ‘লা মেয়ার’ অ্যাপার্টমেন্টে সামনে এক রাতে মদ্যপ অবস্থায় হইহল্লা করেন।  পরে সলমনের পরিবারের সদস্যরা খবর পেয়ে সলমনকে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যান। পরে ঐশ্বর্যর বাবা কৃষ্ণরাজ রাই-এর হস্তক্ষেপে সলমন-ঐশ্বর্যর সম্পর্ক ভেঙে যায়।  কিন্তু  2004 সালে সঞ্জয় লীলা ভনশালী ‘বাজিরাও-মস্তানী’ ফিল্মের জন্য সলমন, ঐশ্বর্য, রানী মুখার্জি (Rani Mukherjee)- কে কাস্ট করার সিদ্ধান্ত নেন।  সলমন ও রানী রাজি থাকলেও ঐশ্বর্য জানিয়ে দেন, তিনি তাঁর কথায় অনড় থাকবেন এবং সলমনের সঙ্গে অভিনয় করবেন না।  ফলে সঞ্জয় লীলা ভনশালীর ‘বাজিরাও-মস্তানী’র কাজ স্থগিত হয়ে যায়। এই সময় একদিন সঞ্জয়ের স্টুডিওতে আগুন লেগে পুড়ে যায় ‘মস্তানী’ সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। ফিল্মের কাজ তখনকার মতো বন্ধ করে দিলেও বহু বছর পরে সঞ্জয় রণবীর সিং(RanbirSingh), দীপিকা পাড়ুকোন(deepika padukone) ও প্রিয়াঙ্কা চোপড়া(priyanka Chopra)- কে কাস্ট করে তৈরী করেন ‘বাজিরাও-মস্তানী’।

Advertisement