উপনির্বাচনে মমতার বিরুদ্ধে লড়তে পারেন পুরনো সাথী রুদ্রনীল ঘোষ, উত্তেজনা তুঙ্গে ভবানীপুরে

ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে রুদ্রনীল ঘোষ ২৮ হাজার ৭৯৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন

Advertisement

Advertisement

একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে এবার তৃণমূল এবং বিজেপি তাদের পূর্ণ শক্তি দিয়ে ভোট যুদ্ধের ময়দানে অবতীর্ণ হয়েছিল। বিজেপি তাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বদের দিয়ে রাজ্যে প্রচার করেছিল। অপরদিকে একা হাতে সামনে থেকে দাঁড়িয়ে ঘাসফুল শিবিরকে পরিচালনা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে হেভিওয়েট লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। শেষমেষ ভোটের ফলে বাংলার মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসকে বড় মার্জিনে জয়যুক্ত করিয়েছিল। তবে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাস্ত হয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। তাই এবার মমতা তার পছন্দের কেন্দ্র ভবানীপুর থেকে উপনির্বাচনে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত হয়েছেন। এখানেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে মমতার বিপরীতে বিজেপি কাকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নেবে?

Advertisement

একুশে বিধানসভা নির্বাচনে এই ভবানীপুর কেন্দ্রে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল বিজেপির তারকা প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষ। কিন্তু ভোটের ফলে মুখ থুবরে পড়েছিলেন তিনি। এবার জল্পনা চলছে উপনির্বাচনে কি রুদ্রনীল ঘোষ মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গেরুয়া সৈনিক হয়ে দাঁড়াবেন? এই প্রসঙ্গে রুদ্রনীল ঘোষ বলেছেন, “আমি দলের সৈনিক। বল বললে অবশ্যই লড়বো। এই ব্যাপারে আমার কোনো মতামত নেই। আমি নির্দেশ মানতে তৈরি রয়েছি।” তবে লজ্জাজনক হারের পর তিনি আবারও দাবি করেছেন যে ভবানীপুরের মানুষ তার সাথেই আছেন।

Advertisement

রুদ্রনীল ঘোষ একদা তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তার প্রাক্তন দলের দলনেত্রীর বিরুদ্ধে লড়াই করাটা কতটা যুক্তিযুক্ত সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, “আমি ব্যক্তি-মানুষ মমতার সাথে নির্বাচনে লড়ব না। আমি লড়বো একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দলের নেত্রীর সাথে। দলটির দুর্নীতির পাহাড় উঁচু হয়ে গেছে। এই দুর্নীতির জন্য তৃণমূলের সাথে আমার দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল।”প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে ডিসেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাড়িতে গিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি নির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে ২৮ হাজার ৭৯৯ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।

Advertisement

Recent Posts