১৯৯২ সালে দেবশ্রী রায়ের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন টলিউডের বুম্বাদা। শোনা যায়, বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই তাদের মাঝে অশান্তি শুরু হয়ে যায়। বিয়ের পর বছর তিনেকের মধ্যেই তারা আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিয়েছিলেন। মিডিয়াতে তাদের বিয়ের থেকেও বিচ্ছেদ বেশি চর্চিত হয়েছিল, তা আর আলাদাভাবে বলার প্রয়োজন পড়ে না।
দেবশ্রী রায়ের সাথে বিচ্ছেদের দু’বছরের মধ্যেই আবারো বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। ১৯৯৭ সালে তিনি অপর্ণা গুহ ঠাকুরতার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তবে এ বিয়েও বেশি দিন টেকেনি। পাঁচ বছর যেতে না যেতেই বিচ্ছেদ হয়ে তাদের। ২০০২ সালেই আলাদা হয়ে যান তারা। উল্লেখ্য, তাদের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। নাম প্রেরণা চ্যাটার্জী।
অপর্ণা গুহ ঠাকুরতা ভালোবেসেই হাত ধরেছিলেন অভিনেতার। তবে অভিনেতার সাথে অন্যান্য অভিনেত্রীদের অতিরিক্ত ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারেননি তিনি। আর সেই কারণবশতই অভিনেতার কাছ থেকে বিচ্ছেদ নেন তিনি। তবে সময়ের কাঁটা ঘুরে গেলেও তার সৌন্দর্যে দাগ পড়েনি। এখনো তিনি টেক্কা দিতে পারেন টলিউডের একাধিক অভিনেত্রীদের।
বর্তমানে অপর্ণা গুহ ঠাকুরতা স্বাধীনভাবেই নিজের জীবনযাপনে ব্যস্ত। বর্তমানে বাইরে থাকেন তিনি। মেয়েকে নিয়ে সেখানেই আস্তানা বেঁধেছেন অপর্ণা। মেয়ে প্রেরণা এই মুহূর্তে লন্ডনের একটি নামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন নিয়ে পড়াশোনা করছেন। সোশ্যাল মিডিয়ার পাতাতেও বিশেষ সক্রিয় নন তিনি। নিজের পড়াশোনা ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই এখন ব্যস্ত রয়েছেন প্রেরণা।
তবে কয়েকদিন আগে এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়েছিলেন,মেয়ের সাথে তেমন যোগাযোগ না থাকলেও তার সাথে দেখা করার ইচ্ছে রয়েছে অভিনেতার। তবে সাক্ষাৎ করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও, নিজে থেকে তাদের জীবনে ঢুকতে চান না তিনি।
তিনি আরো বলেন, তিনি সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করবেন। তিনি জানেন, তিনি এমন কোন অন্যায় করেননি যাতে তার প্রাপ্য টুকু ঈশ্বর তাকে দেবেন না। তিনি ঈশ্বরের উপর আস্থা রেখেই জানিয়েছেন, তিনি জানেন ঈশ্বর তাকে সেই সুযোগ দেবেন যেদিন তিনি ও তার মেয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরবেন।
তবে বেশ কয়েকবছর আগে অভিজিৎ গুহ ও সুদেষ্ণা বসুর সাথে তার একটি ছবি তুমুল ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায়। যা দেখে নেটজনতার একাংশ মনে করেছিলেন তিনিও হয়তো বাবার মত অভিনয় দুনিয়ায় খুব শীঘ্রই পা রাখতে চলেছেন। তবে পরে জানা যায়, অভিনয় নিয়ে তার কোনো আগ্রহ নেই। এই দুনিয়াতে আসার ইচ্ছাও নেই তার। তিনি নিজের পড়াশোনা ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চান।