টার্গেট বিধানসভা নির্বাচন, অনুব্রতের গড়ে আসতে চলেছেন নাড্ডা-রাজনাথ-স্মৃতি-যোগী

আর কিছুদিন পরেই বীরভূমে আসতে চলেছেন জেপি নাড্ডা (J P Nadda)

Advertisement

Advertisement

সামনেই আসছে বিধানসভা নির্বাচন। এবারের হাই ভোল্টেজ ভোটে বাংলা দখলে মরিয়া গেরুয়া শিবির। একাধিকবার শীর্ষ নেতৃত্ব আসছেন বাংলায়। জেলায় জেলায় নানা কর্মসূচি পালন করছেন তারা। এইবার গেরুয়া শিবিরের টের্গেট অনুব্রত মণ্ডলের গড়। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda), স্মৃতি ইরানি, রাজনাথ সিং, যোগী আদিত্যনাথ এবং একাধিক রাজ্য নেতৃত্ব আসতে চলেছেন বীরভূমের বিভিন্ন দিকে।

Advertisement

মঙ্গলবার অনুব্রতের গড়ে আসতে চলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এইদিন বেলা ১২ টা নাগাদ তারাপীঠ হ্যালিপ্যাডে যাবে তার বিমান। সাড়ে ১২ টা নাগাদ হেলিকপ্টারে তারাপীঠ মন্দিরে পৌছানোর কথা জেপি নাড্ডার। সেখানে পুজো দেবেন। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন বারোটা নাগাদ তারাপীঠ মন্দিরের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। তবে নাড্ডার জন্য খোলা রাখা হবে দরজা। আটজন পুরোহিতের করোনা টেস্টও করানো হয়েছে। তারামাকে বেনারসী দিতে চলেছেন জেপি নাড্ডা। তাকে মণ্ডা প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হবে।

Advertisement

তারপর ছিলার মাঠে যাওয়ার কথা। জনসভায় রাখতে পারেন বক্তৃতা। তারপরই পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করবেন। সোমবার বিকেলে সরেজমিনে মাঠ পরিদর্শন করতে পারেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayavargiya), মুকুল রায়েরা (Mukul Roy)। এরপর ঝাড়গ্রামে চলে যাবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেখানেও পরিবর্তন যাত্রার সূচনা করার কথা তার। বিকেল পাঁচটা নাগাদ স্বাগত সভায় যোগ দেবেন। তারপর যাবেন শিলদা। ভৈরব মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর যোগ দেবেন জনসভায়। তারপর আসবেন খড়গপুরে। সেখানেই রাত কাটানোর কথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির। বুধবার কালিকুণ্ডায় বায়ুসেনা ছাউনি থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন জেপি নাড্ডা।

Advertisement

বীরভূম জেলা বিজেপি হতে জানা গিয়েছে, ৯ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি গোটা জেলায় ৩২৮ কিমি পরিবর্তন যাত্রা করা হবে। তাতেই নেতৃত্ব দেবেন শীর্ষ বিজেপি নেতৃত্ব। নানুরে সভা করবেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। ভোটের আগে অনুব্রতর গড়ের নেতানেত্রীদের উজ্জীবিত করতে আসবেন স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) এবং রাজনাথ সিংও (Rajnath Singh)। শোনা যাচ্ছে, বর্ধমানেও জনসভা করতে পারেন বিজেপির নেতারা। এছাড়াও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের মতো রাজ্য নেতৃত্ব তো রয়েছেন। তারা একাধিক জনসভা করতে পারেন। এ বিষয়ে যথেষ্ট উচ্ছ্বসিত পদ্ম শিবির । এই বিষয়ে বিজেপি বাংলার সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “উন্নয়নের নামে রাজ্য সরকারের ভাঁওতাবাজির কথা সকলের সামনে তুলে ধরতেই আসবেন শীর্ষ নেতৃত্ব।”