পুনের দম্পতি সিমেন্ট ছাড়াই বাড়ি বানিয়েছেন, গ্রীষ্মের গরমে আর লাগবেনা AC

Advertisement

Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি : শীত প্রায় যেতে চলেছে। এরপরে আবার শুরু হবে সেই প্যাচপেচে গরম। ফ্যান, কুলার, এয়ার কন্ডিশন কিছুতেই যেন গরমকে থামানো যাবে না। কিন্তু পুনের এই দম্পতি অদ্ভুত একটি ঘটনা ঘটিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। বাইরের আবহাওয়া যখন 38 ডিগ্রি ঘরের ভেতর আপনি তখন 25° অনুভব করবেন। আপনি ভাববেন এসি চালালেই তো এই অনুভূতি আপনি পেতে পারেন, কিন্তু না কোন এসি,কুলার এর সাহায্য না নিয়েই আপনি ঘরের ভেতর ঠাণ্ডা অনুভূতি পাবেন। এই দম্পতি অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছেন সিমেন্ট ছাড়া একটি বাড়ি বানিয়ে।

Advertisement

Advertisement

ধ্রুবং হিংমিরে এবং প্রিয়াঙ্কা গঞ্জিকার এই দুজনে মিলে সিমেন্টের জায়গায় মাটি দিয়ে বাড়ি বানিয়েছেন এবং বাড়ির তৈরিতে যা উপাদান হিসেবে কাজে লাগিয়েছেন তাঁর প্রত্যেকটি পরিবেশবান্ধব। পাহাড়ের ধাপে তারা প্রথম বাড়ি তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়, কারণ তারা ভেবেছিল এই সমস্ত জায়গা থেকে তারা বাড়ি তৈরীর উপাদান খুব সহজে পেয়ে যাবেন। প্রথমে তারা ভেবেছিল কাছাকাছি থাকা কালো পাথর দিয়ে তারা বাড়িটা বানাবে, কিন্তু এই সাত ফুটের বাড়ি বানানোর জন্য কালো পাথর খুবই ভারী হবে, সেজন্য তারা ইট দিয়ে বাড়ি বানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। এবং ইটের যায় এবং সিমেন্টের জায়গায় ব্যবহার করে মাটি কারণ এখানকার মাটি টা বেশ ভালো।

Advertisement

একতলার জন্য তারা পাথর ব্যবহার করেছিল এবং পরে সাত ফুট তারা ইটের সঙ্গে মাটি মিশিয়ে বাড়িটি তৈরি করে। বাড়িতে দোতলা এবং সাথে খুব সুন্দর একটি চাঁদ আছে যা ইঁট এবং কাঠ দিয়ে বানানো হয়েছে।

ধ্রুবং এর জন্ম পুনেতে, তিনি মুম্বাইয়ের রচনা সংসদ একাডেমি অফ আর্কিটেকচারে পড়াকালীন তার প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে আলাপ হয়। কলেজে পড়াকালীন তারা দুজনেই সেখানকার আর্কিটেক্ট মাল্লকসিঙ্গ গিল এর দ্বারা প্রভাবিত হন। তাদের চার বছরের পড়াশোনায় এই অধ্যাপক তাদেরকে নিয়ে মহারাষ্ট্রের সাতারা যে গ্রামটি খরা প্রবণ এলাকার সেখানে ঘুরিয়ে ছিলেন। তারা সেখানে গিয়েছিল যে সেই খরাপ্রবণ এলাকাতে কীভাবে উপযুক্ত বাড়ি বানানো যায় তা দেখতে। ঠিক কি দিয়ে বাড়ি বানালে ঘরের ভেতর ঠান্ডা থাকবে এবং বাড়ির উপাদানগুলি কেও হতে হবে পরিবেশ বান্ধব।

শুরুটা হয়তো সেখান থেকেই হয়েছিল, মনে মনে হয়ত ভাবনাচিন্তা তাদের ছিল যে, তারা ভবিষ্যতে এমন একটি বাড়ি বানাবে যেটি তৈরি করতে কোন রকম কৃত্রিম জিনিস ব্যবহার করা হবে না। সবটাই হবে প্রাকৃতিক উপায়। সদিচ্ছা থাকলে তা একদিন ঠিক সত্যি হবে। এমন ভাবনা কেই সত্যি করে দেখিয়েছেন এই দম্পতি।

Recent Posts