জোটবদ্ধ হয়ে ময়দানে নামছে বলিউড, খোলা চিঠি গিল্ডের

Advertisement

Advertisement

সুশান্ত সিং রাজপুতের নারকীয় মৃত্যু তদন্ত করতে গিয়ে নানান ভয়ঙ্কর দিক উঠে আসে। কখনো উঠে আসে স্বজনপোষণ-এর মত ভারী শব্দ তো কখনো ড্রাগ লেনদেন নিয়ে ও নিষিদ্ধ মাদকের যথেচ্ছ ব্যবহার নিয়ে কালিমালিপ্ত হতে হয় বলিউডকে। ইতিমধ্যে, বলিউড কুইন করণ জোহার কে প্রায় কোণঠাসা করে জানান যে এই ব্যক্তি হল নাটের গুরু। করণের হাউস পার্টিতে মাদকের যথেচ্ছ ব্যবহার হয় এবং বলিউডের তাবড় তাবড় পরিচালকরা সবসময় স্টারকিড-দের অভিনয়য়ের সুযোগ পাইয়ে দেন। ফলে বঞ্চিত হতে হয় প্রতিভাবানদের। তবে কঙ্গনা যেই বড় আরোপ দেন তা হল, বলিউডের ৭০ শতাংশ ব্যক্তিত্ব ড্রাগে আসক্ত। তিনি কিছু নাম সরাসরি জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকি মুম্বাইক পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীর বলেও তোপ দাগেন অভিনেত্রী। বিরোধ বাধে শিবসেনার মুখপাত্রের সঙ্গেও।

Advertisement

এরকমই নিত্য নতুন অভিযোগ, পরস্পরের প্রতি দোষারোপ ও নেতিবাচক চর্চার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে বি টাউন। তাই এবারে সরব হয়েছেন বলিউডের বেশ কয়েকজন অভিনেতা ও অভিনেত্রী। যেভাবে ইন্ডাস্ট্রির ইমেজকে প্রশ্নচিহ্নের মুখে রাখা হয়েছে সেহেতু এর প্রতিবাদস্বরূপ শুক্রবার একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করল প্রোডিউসর্স গিল্ড অব ইন্ডিয়া। কি ছিল সেই চিঠিতে?

Advertisement

“এক প্রতিশ্রুতিমান তরুণ অভিনেতার অকালমত্যুকে হাতিয়ার করে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ও তার সদস্যদের প্রতি তীব্র আক্রমণ নেমে এসেছে সাম্প্রতিক অতীতে। বাইরের লোকের কাছে এমন ভাবে ইন্ডাস্ট্রিকে তুলে ধরা হচ্ছে, যাতে এক ভয়ঙ্কর ইমেজ গাঁথা হয়ে যাচ্ছে লোকের মনে। অথচ তা সত্যি নয়, সত্যির অপব্যাখ্যা।”

Advertisement

গিল্ডের বক্তব্য অনুযায়ী, “দেশের মানুষকে বিনোদন জোগানো, বিভিন্ন প্রান্তের প্রতিভার সম্মেলন ও বিকাশ, যে কোনও জাতীয় বিপর্যয়ে দেশের পাশে দাঁড়ানোর মতো কাজও এই ইন্ডাস্ট্রিই করে এসেছে। সম্পূর্ণ বাইরে থেকে এসেও বহু প্রতিভাবানশিল্পী এখানে কাজ করে থাকেন, যাঁরা ইন্ডাস্ট্রির স্তম্ভ। এই কঠিন সময়ে একে অন্যের প্রতি বিষোদ্‌গার না করে আমাদের উচিত পরস্পরের পাশে থাকা।”

গিল্ডের এই ট্যুইটে রি-ট্যুইট করেছেন বি টাউনে অনেক অভিনেতা ও অভিনেত্রী- একতা কপূর, দিয়া মির্জ়া, অভিষেক বচ্চন, ফারহান আখতার, সোনম কপূর, সুজয় ঘোষ, রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা -সহ ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই। চলুন দেখে নিই সোনাম কাপুরের রি-ট্যুইট।