রাজ্যে পঠন-পাঠন চালু হলে পড়ুয়াদের করোনা হলে তার দায় নেবে না বেসরকারি স্কুলগুলো

অভিবাবকরা পড়ুয়াদের যাতে নিজের ইচ্ছায় স্কুলে পাঠায় তাই তাদেরকে একটি ফর্মে স্বাক্ষর করিয়ে নিচ্ছে বেসরকারি স্কুলগুলি

Advertisement

Advertisement

করোনাভাইরাস প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে গত বছরের মার্চ মাস থেকে রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ ছিল। নতুন বছরের শুরুতে করণা প্যানডেমিক এর প্রভাব কিছুটা আয়ত্তে আসার পর এবার রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যের সমস্ত সরকারি ও বেসরকারি স্কুল খুলে যাবে। স্কুল খুলে ক্লাস হবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি অব্দি। এবার প্রায় ১১ মাস পর স্কুল খুলতে চলেছে। কিন্তু স্কুল খুললেও মেনে চলতে হবে পর্ষদের দেওয়া নির্দেশিকা।

Advertisement

স্কুল শিক্ষা পর্ষদের তরফে শিক্ষক শিক্ষাকর্মী অভিভাবক ও পড়ুয়াদের জন্য একটি ৫২ পাতার গাইডলাইন জারি করা হয়েছে। সেই গাইডলাইন রাজ্যের প্রতিটি স্কুলে পৌঁছে গিয়েছে জেলাশাসক এর মাধ্যমে। এবার করোনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী আর মাদুলি তাবিজ-কবজ ইত্যাদি পড়ে স্কুলে আসা যাবেনা। এছাড়াও সোনা বা যেকোন ধাতব অলংকার পরা নিষিদ্ধ। বাড়িতে এসে সব খুলে রেখে আসতে হবে। এছাড়াও স্কুলে সর্বক্ষণ শিক্ষক-শিক্ষিকা শিক্ষাকর্মী বা ছাত্রদের মাস্ক পড়ে থাকতে হবে। টিফিন ভাগাভাগি করা যাবে না ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ক্লাস করতে হবে।

Advertisement

অন্যদিকে আগামী শুক্রবার ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি স্কুলগুলির পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলগুলি ও খুলে যাচ্ছে। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে পাঠানোর আগে বেসরকারি স্কুল গুলি অভিভাবকদের থেকে একটি নির্দিষ্ট ফরম অনলাইনে বা হাতেনাতে নিয়ে নিচ্ছে। সেই ফর্মে প্রতিটি অভিভাবকদের স্কুলের তরফ একটি বয়ান পাঠানো হয়েছে। অভিভাবকদের সেই বয়ানে স্বাক্ষর করে এটা বলে দিতে হবে যে তারা নির্দিষ্ট ছাত্রছাত্রীকে স্কুলে পাঠাচ্ছে তাদের নিজের ইচ্ছায়। অর্থাৎ স্কুলে ক্লাস চলাকালীন বা স্কুল আসতে গিয়ে কোন ছাত্র-ছাত্রী করোনা পজিটিভ হয়ে গেলে তার দায় নেবে না স্কুল কর্তৃপক্ষ। আসলে কিছুদিন আগেই কেরলে স্কুল খোলার পর প্রায় ২০০ পড়ুয়া কোভিদ পজিটিভ হয়ে গিয়েছিল। তাই সেই তিক্ততা থেকে শিক্ষা নিতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গের বেসরকারি স্কুলগুলি।

Advertisement

Recent Posts