নিম্নমুখী আলুর দাম, ২ মাস পরে স্বস্তিতে মধ্যবিত্ত

Advertisement

Advertisement

বেশ কয়েক মাস ধরে অত্যন্ত ঊর্ধ্বমুখী থাকার পরে এইবারে নামতে শুরু করেছে আলুর বাজার দর। পাইকারি বাজারে গত কয়েকদিন ধরে কিছুটা নিম্নগামী আলুর দাম। পুজোর সময় এবং পুজোর পরে পাইকারি বাজারে আলুর দাম ছিল আকাশছোঁয়া। এই কারণে, তার প্রভাব পড়েছিল খুচরা বাজারেও। সেই সময় আলু প্রায় ৫০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছিল। এই তিন দিনে বস্তা ( ৫০ কেজি) প্রতি আলুর দাম প্রায় ৩০০ টাকা মত কমেছে।

Advertisement

এবং এই দাম কমার প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়বে বলে মনে করছেন আলু ব্যবসায়ীরা। আলুর দাম যে হারে বাড়তে শুরু করেছিল তাতে মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। সেখান থেকে এক ধাক্কায় বেশ কিছুটা আলুর দাম কমলে কিছুটা স্বস্তি মিলবে বাঙালির হেঁসেলে ও। আর এই দাম কমার ফলে বর্তমানে বেশ কিছুটা খুশি বাংলার মধ্যবিত্ত মানুষ জন।

Advertisement

কিছুদিন আগে কেজিপ্রতি আলুর দাম পৌছে গেছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকার কাছাকাছি। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুফল বাংলা স্টলে অর্ধেক দামে আলু বিক্রি করছিলেন। সেই আলু কিনতে ভিড় জমাচ্ছিলেন শয়ে শয়ে মানুষ। টানা দুই মাস ধরে আলুর দাম এরকম ভাবেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল। কিন্তু, অবশেষে এতদিন পরে আলুর দাম কিছুটা হলেও নামতে শুরু করেছে বলেই খবর। পাইকারি বাজারে গত দুইদিন আগে পর্যন্ত বস্তাপ্রতি আলুর দাম ছিল ১,৯০০ টাকা। সেই দাম বুধবার এসে দাঁড়িয়েছে ১,৬০০ টাকায়। অর্থাৎ এখন গাড়ি বাজারে কিলো প্রতি আলুর দাম ৩২ টাকা।

Advertisement

কিন্তু এই আলুর দাম কমার পেছনে কারণ কি? রাজ্যের প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন,” বিহার ওড়িশার মত রাজ্যে আলুর চাহিদা কমেছে। পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশের নতুন আলু সারা দেশে রপ্তানি হওয়া শুরু করেছে। তাই আগে যেরকম আলুর চাহিদা ছিল সেরকম চাহিদা আর নেই। এই কারণেই আলুর দাম কিছুটা নিম্নমুখী।”

আবার প্রতিদিনের বাজারের একজন আলু ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, “তিনদিন আগে আলু কিনছিলাম প্রতি কেজি ৪০ টাকা দরে। এই কারণে আমাদের আলু বিক্রি করতে হচ্ছিল বেশি দামে। ফলে ক্রেতাদের আলু কেনার পরিমাণ বেশ কিছুটা কমে যায়। এখন দাম কিছুটা কমে আসায়, ক্রেতারাও আলু কেনা শুরু করেছেন একটু বেশি করে।”

Recent Posts