পোস্ট অফিসের এই স্কীমে সাড়ে চার লক্ষ টাকা রাখলে পাঁচ বছরে হবে সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা

Advertisement

Advertisement

বর্তমানে পোস্ট অফিসের মাসিক স্কীমে আপনি সর্বোচ্চ ৪,৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে সুদ আমানতকারীর মাসিক আয়ের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়। ৭.৬ শতাংশ হারে ৪,৫০,০০০ টাকার পাঁচ বছরে মোট সুদ হবে ১,৭১,০০০ টাকা। ৪,৫০,০০০ টাকা ডিপোজিট করে আপনি মাসিক পাবেন ১,৭১,০০০/৬০=২,৮৫০ টাকা করে। পাঁচ বছর পর পুরো টাকাটা অর্থাৎ ৪,৫০,০০০ টাকাই তুলে নেওয়া যাবে। যারা মাসিক টাকা চাননা তাদের জন্যে অন্য স্কীমও আছে পোস্ট অফিসের।

Advertisement

পোস্ট অফিসের নিয়ম অনুসারে, আপনি মাসিক আয় স্কীম থেকে অর্জিত সুদের পরিমাণ পোস্ট অফিসের সঞ্চয়ী অ্যাকাউন্টে জমা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনি ৪ শতাংশ সুদ পাবেন। কিন্তু পোস্ট অফিসেরই আর একটি স্কীম রেকারিং ডিপোজিটে টাকা জমা করলে ৭.২ শতাংশ হারে সুদ পেতে পারেন।

Advertisement

পোস্ট অফিসের নিয়ম অনুযায়ী, আপনি মাসিক আয় স্কীম থেকে অর্জিত সুদ রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে সরাসরি জমা করতে পারবেন না। তবে মাসিক আয় স্কীম থেকে সুদের পরিমাণ পোস্ট অফিসের সেভিংস অ্যাকাউন্ট এবং সেখান থেকে রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে জমা করতে পারবেন।

Advertisement

তাহলে আপনি যদি ৪,৫০,০০০ টাকা মাসিক আয় স্কীমে জমা করেন তাহলে মাসিক যে সুদ পাবেন সেটা পোস্ট অফিসের নিয়ম অনুসারে রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্টে জমা করতে পারেন। রেকারিং ডিপোজিট অ্যাকাউন্টের ম্যাচিউর হওয়ার সময় ৫ বছর। অর্থাৎ ২,৮৫০ টাকা করে মোট ২,৮৫০*৬০=১,৭১,০০০ টাকা আপনি ৫ বছর জমাবেন। এই ৫ বছরে এই টাকার উপর আপনি ৩৫,০০০ টাকা সুদ পাবেন। তাহলে ৫ বছরে মাসিক যায় স্কীম আর রেকারিং ডিপোজিট থেকে মোট পাবেন ৪,৫০,০০০+১,৭১,০০০+৩৫,০০০=৬,৫৬,০০০ টাকা।

Recent Posts