এখনকার দিনে বিনিয়োগের একটা ভালো এবং বিশ্বস্ত জায়গা হয়ে উঠেছে পোস্ট অফিস। পোস্ট অফিস মাসিক আয় স্কিম একটি অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং লাভজনক বিনিয়োগ স্কিম। এই স্কিমের মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে নিয়মিত আয় পেতে পারেন এবং আপনার বিনিয়োগকৃত অর্থটিও সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবে। এই প্রকল্প যদি আপনি গ্রহণ করেন তাহলে আপনি বেশ কিছু জায়গায় পাবেন দারুন লাভ। অনেক দিকেই এই প্ল্যান আপনার জন্য ভালো প্রমাণিত হতে পারে। এই প্ল্যানের একাধিক সুবিধা রয়েছে। পাশাপাশি আপনার টাকা সুরক্ষিত রাখতে সরকার এই প্ল্যানের সঙ্গে অনেক ধরনের সুবিধা দিচ্ছে। চলুন তাহলে এই প্ল্যানের ব্যাপারে আরো বিস্তারে জেনে নেওয়া যাক। কোন কোন সুবিধা পাওয়া যাবে?
১. এই স্কিমটি ভারত সরকার দ্বারা সমর্থিত, তাই আপনার বিনিয়োগকৃত অর্থ সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকবে।
২. এই স্কিমের মাধ্যমে আপনি প্রতি মাসে নিয়মিত আয় পেতে পারেন। বর্তমানে এই স্কিমের ৭.৪% হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে।
৩. এই স্কিমের মাধ্যমে আপনি জীবনের অনেক কাজ সহজেই করতে পারেন। যেমন, সন্তানদের শিক্ষার জন্য, অবসরকালীন জীবনের জন্য, বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে।
৪. এই স্কিমের জন্য কোনো জটিল প্রক্রিয়া বা নথিপত্রের প্রয়োজন নেই। আপনি সহজেই যেকোনো পোস্ট অফিসে গিয়ে এই স্কিমের জন্য আবেদন করতে পারেন।
এই স্কিমটি দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলে উপভোগ করা যায়। একটি সিঙ্গেল একাউন্ট এবং অপরটি জয়েন্ট একাউন্ট। একটি সিঙ্গেল অ্যাকাউন্টে একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ৯ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন। অন্যদিকে, একটি যৌথ অ্যাকাউন্টে দুজন বা তিনজন মিলে সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারেন।
এই স্কিমের মাধ্যমে আপনি ৫,৫৫,০০০ টাকা আয় করতে পারবেন কীভাবে?
বর্তমানে এই স্কিমের ৭.৪% হারে সুদ দেওয়া হচ্ছে। আপনি যদি এই স্কিমের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেন, তাহলে প্রতি মাসে আপনার ৯,২৫০ টাকা সুদ পাবেন। এই হিসাবে, বছরে আপনার মোট সুদ পাওয়ার পরিমাণ হবে ১,১১,০০০ টাকা। আপনি যদি এই সুদ ৫ বছরের জন্য জমা রাখেন, তাহলে আপনার পাওয়া মোট সুদের পাওয়ার পরিমাণ হবে ৫,৫৫,০০০ টাকা।
সুতরাং, আপনি যদি এখন একটি নিরাপদ এবং লাভজনক বিনিয়োগ স্কিম খুঁজছেন, তাহলে পোস্ট অফিস মাসিক আয় স্কিম একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। এই স্কিমের মাধ্যমে আপনি আপনার বিনিয়োগকৃত অর্থ সম্পূর্ণ নিরাপদ রাখতে পারবেন এবং প্রতি মাসে নিয়মিত আয় পেতে পারবেন।