নয়াদিল্লি: সম্প্রতি উরিতে পাকিস্তানের সেনাদের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করার ঘটনায় ভারতীয় সেনা জওয়ানদের শহীদ হওয়ার ঘটনা এখনও ভোলেনি দেশবাসী। এমনকি এতে প্রাণ গিয়েছে নদীয়ার বাঙালি শহীদ জাওয়ানের। এর রেশ কাটতে না কাটতেই ফের রক্তাক্ত হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ জম্মু-কাশ্মীরের নাগরোটা জেলার হাইওয়েতে নিরাপত্তা বাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ চলে গুলির লড়াই। এই গুলিবর্ষণের ঘটনায় চারজন জঙ্গিকে নিকেশ করে ভারতীয় সেনা। যদিও দুজন ভারতীয় সেনা গুরুতরভাবে আহত হন। তাদেরকে নিকটবর্তী স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ে। আর মাত্র কয়েকদিন পর ২৬/১১-র হামলার ১২ বছর পূর্তি হতে চলেছে। তার আগে জম্মু ও কাশ্মীরে বড়সড় হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা, এমনটাই সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে। আর তাই আজ, শুক্রবার নাগরোটা এনকাউন্টার নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, NSA, বিদেশ সচিব এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে শুক্রবার বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাণিজ্যনগরী থেকে উপত্যকা সমস্ত জায়গা নিরাপত্তার চাদরে ইতিমধ্যেই মুড়ে ফেলা হয়েছে।
সূত্রের খবর, জঙ্গিদের দমন করা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেন। যদিও বৈঠকে ঠিক কী কী বিষয়ে আলোচনা করা হয়, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট করে কিছু জানা যায়নি। তবে ২৬/১১ হামলার বর্ষপূর্তিতে যাতে কোনওরকম গন্ডগোল না হয়, তার জন্য জরুরী আলোচনা করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বাসে করে জম্মু ও কাশ্মীরের দিকে যাচ্ছিল জঙ্গির দল। সেই সময় হাইওয়ের কাছে একটি টোল প্লাজার সামনে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জঙ্গিদের গুলির লড়াই চলে। নিরাপত্তা বাহিনীদের ওই বাস দেখে সন্দেহ হয়। তার ফলে তারা টোলের কাছে বাসটিকে থামিয়ে দেয়। সেখানেই সংঘর্ষ বাধে। জঙ্গিরা নিয়ন্ত্রণ হাতের বাইরে চলে যাওয়া দেখে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। তারপর এই চারজন জঙ্গি নিহত হয় এবং দুজন সেনা আহত হয়েছেন।