Categories: দেশনিউজ

কৃষি আইন রাতারাতি আসেনি, বহু বছরের আলোচনা, পরামর্শের ফসল এটি, ভিডিও বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

Advertisement

Advertisement

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রের প্রকাশ করা নতুন তিনটি কৃষি আইনের বিরোধিতা করে দীর্ঘ বেশ কয়েকদিন ধরে চলছে কৃষক আন্দোলন। হরিয়ানা, পাঞ্জাব, কর্ণাটক থেকে হাজার হাজার কৃষক পায়ে হেঁটে ‘দিল্লি চলো’-র ডাক দিয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে লাগাতার চলছে কৃষক আন্দোলন। সরকার এবং ভারত কৃষক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে দফায় দফায় বৈঠক হওয়ার পরেও মেলেনি সমাধান সূত্র। ইতিমধ্যেই দিল্লির পারদ নামতে শুরু করেছে। একে করোনা পরিস্থিতি, তার ওপর রাজধানীর বুকে প্রচণ্ড ঠান্ডায় মৃত্যু হল আন্দোলনরত এক কৃষকের। বৃহস্পতিবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে। বুধবারও বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল পঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তের কাছে এক শিখ ধর্মগুরুর আত্মহত্যার খবর মেলে। এম পরিস্থিতিতে ক্রীড়াবিদরা এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছে। এমনকি এই আন্দোলনকে স্বীকৃতি দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট। আর এবার দিল্লির সিংঘু সীমান্তে আন্দোলনের ২৩তম দিনে কৃষি আইন নিয়ে এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

Advertisement

অনলাইনে কিষান কল্যাণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে মধ্যপ্রদেশের কৃষকদের উন্নয়নের গল্প শোনাতে গিয়ে কৃষি আইন নিয়ে মন্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এই কৃষি আইন হঠাৎ করে রাতারাতি আসেনি। বহু বছর ধরে আলাপ-আলোচনা ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ফসল হল, এই কৃষি আইন। সহায়ক মূল্য নিয়ে কৃষকদের ভুল বোঝাচ্ছে বিরোধীরা। নয়া কৃষি আইনেও সহায়ক মূল্য রয়েছে। পাঁচ বছরে একমাত্র বিজেপি সরকারি সবচেয়ে বেশি সহায়ক মূল্য দিয়েছে। এভাবেই কৃষি আইনের পক্ষে সওয়াল করেন মোদি।

Advertisement

Advertisement

প্রসঙ্গত, এর আগে গুজরাটের কচ্ছে একাধিক কর্মসূচি নিয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নিজের রাজ্য থেকেও কৃষি আইনের পক্ষে মন্তব্য রাখেন তিনি। অনাহারে, অবহেলায় যেন কৃষক আন্দোলন না হয়, এমনটাও আর্জি জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু কোনও কিছুই যেন মানতে নারাজ কৃষকরা। এ ঘটনার নিষ্পত্তি হবে কিনা, এখন থেকে সেটা বলা মুশকিল।

Recent Posts