Categories: দেশনিউজ

মিলেছে ওয়ারলেস, নাগরোটাকাণ্ডে পাক মদত স্পষ্ট

Advertisement

Advertisement

নয়াদিল্লি: সম্প্রতি উরিতে পাকিস্তানের সেনাদের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করার ঘটনায় ভারতীয় সেনা জওয়ানদের শহীদ হওয়ার ঘটনা এখনও ভোলেনি দেশবাসী। এমনকি এতে প্রাণ গিয়েছে নদীয়ার বাঙালি শহীদ জাওয়ানের। এর রেশ কাটতে না কাটতেই ফের রক্তাক্ত হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। গত বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ জম্মু-কাশ্মীরের নাগরোটা জেলার হাইওয়েতে নিরাপত্তা বাহিনী এবং জঙ্গিদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ চলে গুলির লড়াই। এই গুলিবর্ষণের ঘটনায় চারজন জঙ্গিকে নিকেশ করে ভারতীয় সেনা। যদিও দুজন ভারতীয় সেনা গুরুতরভাবে আহত হন। তাদেরকে নিকটবর্তী স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়ে। আর মাত্র কয়েকদিন পর ২৬/১১-র হামলার ১২ বছর পূর্তি হতে চলেছে। তার আগে জম্মু ও কাশ্মীরে বড়সড় হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা, এমনটাই সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে। আর এবার মিলল নয়া চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিহত জঙ্গিদের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে পাকিস্তানের তৈরি ওয়ারলেস সেট এবং ওষুধ। যা থেকে এই নাগরোটাকাণ্ডে পাক মদত স্পষ্ট হল।

Advertisement

জানা গিয়েছে, নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে যে ওয়্যারলেস উদ্ধার হয়েছে, সেটি পাক সংস্থা মাইক্রো ইলেক্ট্রনিক্স-এর তৈরি৷ ওই ওয়্যারলেস সেট পরীক্ষা করে দেখে গোয়েন্দারা নিশ্চিত, জঙ্গিদের এবং পাকিস্তানে থাকা তাদের হ্যান্ডলারদের মধ্যে নিয়মিত তথ্যের আদানপ্রদান চলছিল৷ জঙ্গিরা কতদূর পৌঁছেছে, কী পরিস্থিতি, তা জানতে টেক্সট মেসেজও পাঠায় পাকিস্তানে থাকা হ্যান্ডলাররা৷ শুধু তাই নয়, টেক্সট মেসেজ দেখে এটা স্পষ্ট যে, জঙ্গিদের জন্য সীমান্তের আশেপাশের এলাকায় কয়েকজন অপেক্ষা করছিল। এমনকি একটি ট্রাক রাখা ছিল যাতায়াত করার জন্য। তদন্তকারীদের অনুমান, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের শাকারগড় থেকেই জঙ্গিদের নির্দেশ দিচ্ছিল তাদের হ্যান্ডলাররা৷

Advertisement

এমনকি জঙ্গিদের জুতো এবং পরনে থাকা প্যান্টের ট্যাগ থেকেও তাদের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগ স্পষ্ট হয়েছে৷ তাদের কাছে যে ওষুধের স্ট্রিপ পাওয়া গিয়েছে, সেগুলির গায়ে লাহোর এবং খাইবার পাখতুনখোয়ার ছাপ পাওয়া গিয়েছে৷ সুতরাং, সব প্রমাণ এটাই জানান দিচ্ছে যে, এই জঙ্গিদের সঙ্গে পাক মদত নিশ্চিতভাবে ছিল। এ ঘটনায় পাক যোগ স্পষ্ট হওয়ার পরই পাক দূতাবাসের এক আধিকারিককে দিল্লিতে ডেকে পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকার। জঙ্গি দমনে ইসলামাবাদ যাতে কঠোর ব্যবস্থা নেয়, তার জন্য কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে পাক দূতাবাসের ওই আধিকারিককে। এমনকি দেশকে রক্ষা করার জন্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে যে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলেও আগাম সাবধান করে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, আর কিছুদিন পরেই মুম্বইতে ২৬/১১ হামলার ১২ বছর পূর্তি। তার আগে উপত্যকায় সেনা-জঙ্গির এই ঘটনা দেশের নিরাপত্তা নিয়ে ভাবাচ্ছে কেন্দ্রকে।

Advertisement