Categories: দেশনিউজ

করোনা কালে নতুন নির্দেশিকা রেলের, জেনে নিন কী কী নতুন নিয়ম

সম্পূর্ণ লকডাউন না হলেও রেল সহ অনেক পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু রাজ্যে

Advertisement

Advertisement

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল সকলে। সারা ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ একেবারে আছড়ে পড়েছে।এই পরিস্থিতিতে লকডাউন জারি করা হচ্ছে না বটে কিন্তু বেশ কিছু রাজ্যে কিছু কিছু বিধিনিষেধ নিয়ে আসা হচ্ছে। দূরপাল্লার ট্রেনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম জারি করা হয়েছে। এছাড়াও বর্তমানে মাস্ক পরা অত্যন্ত বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন রকম নিয়ম জারি করা হয়েছে।

Advertisement

পশ্চিমবঙ্গের লোকাল ট্রেন বাতিল করা হয়েছে আর দূরপাল্লার ট্রেনের ক্ষেত্রে যদি কেউ বাইরে থেকে আসে তাহলে তাকে করোনাভাইরাস এর রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে যা নেগেটিভ হতে হবে। অন্যদিকে আবার যদি আপনি মহারাষ্ট্র থেকে দিল্লি যান তাহলে সেই যাত্রীদের কাছে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট থাকতেই হবে। পাশাপাশি দিল্লিতে ট্রেনে আসা সমস্ত যাত্রীকে ১৪ দিনের জন্য করেনটাইন রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Advertisement

অন্যদিকে কেরালাতে দূর থেকে আসা যাত্রীদের ক্ষেত্রে নেগেটিভ করোনা রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে। যদি সেই রিপোর্ট না নিয়ে আসা হয় তাহলে স্টেশনে বসে টেস্ট করানো যাবে। এছাড়া ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাধ্যতামূলক। জম্মু-কাশ্মীরে যেতে হলে সেই করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ নিয়ে যেতে হবে। অন্যদিকে আবার ছত্রিশগড়ে যাত্রীরা স্টেশনে এসে করোনা টেস্ট করাতে পারবেন। যদি আপনারা নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে আসেন তাহলে হবে।

Advertisement

এছাড়া হিমাচল প্রদেশের যদি আপনি পাঞ্জাব, দিল্লি, গুজরাট, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং উত্তর প্রদেশ থেকে আসেন তাহলে কিন্তু করোনা ভাইরাসের টেস্টিং রিপোর্ট নেগেটিভ নিয়ে যেতে হবে। উত্তরপ্রদেশে যদি আপনি মহারাষ্ট্র এবং কেরল থেকে যান তাহলে করোনাভাইরাস এর নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে।

কিন্তু সবথেকে বেশি বিধি-নিষেধ জারি করা হয়েছে মহারাষ্ট্রে। এবারে দ্বিতীয় ঢেউয়ে মহারাষ্ট্র সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য তাই সেখানে কড়াকড়ির পরিমাণ অনেকটা বেশি। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন প্রত্যেক যাত্রীর কাছে সরকারি পরিচয় পত্র থাকতে হবে। সেই পরিচয় পত্র দেখে তবে ট্রেনের পাশ দেওয়া হবে। সেই পাস যদি আপনি পান তাহলেই আপনারা ট্রেনে উঠতে পারবেন। এছাড়া চিকিৎসার সঙ্গে যারা যুক্ত তাদেরকে পাস দেওয়া হবে।

যারা দূরপাল্লার ট্রেন বুক করবেন তাদের হাতে স্ট্যাম্প দেওয়া থাকবে। ওই যাত্রী যে স্টেশনে পৌঁছে দেন সেখানে তাকে ১৪ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রেনে ওঠার আগে থার্মাল স্ক্রীনিং করা হবে। ট্রেন থেকে নামার পরে তাপমাত্রা চেক করা হবে। তার সাথেই যারা দূরপাল্লার ট্রেনে যাবেন তারা কিন্তু লোকাল ট্রেনে উঠতে পারবেন না।