Categories: দেশনিউজ

NEET এবং JOINT পরিক্ষা পিছনোর দাবি, আজ মমতা-সহ বিরোধীদের নিয়ে বৈঠকে সোনিয়া

Advertisement

Advertisement

নয়াদিল্লি : কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক জানিয়েছেন, পড়ুয়া ও অভিভাবকদের চাপেই জয়েন্ট ও নিটের পরীক্ষা হচ্ছে। অর্থাৎ তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, বিরোধীদের আপত্তি থাকলেও নিট এবং জয়েন্ট সেপ্টেম্বরের শুরুতেই হবে। কেন্দ্রের এই অবস্থানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এই ইস্যুতে সুরে সুর মিলিয়েছে কংগ্রেসও। মমতা-সহ সাত বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে নিট-জয়েন্ট পিছোনোর দাবিতে বুধবার ভারচুয়াল বৈঠক ডেকেছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।

Advertisement

কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, মমতা ছাড়াও এই বৈঠকে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন-সহ চার কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। যদিও শেষপর্যন্ত উদ্ধব ঠাকরে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত নাও থাকতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে ।করোনার কারণে এপ্রিল থেকে কয়েক দফা স্থগিত এবং দিন পিছোনোর পর সেপ্টেম্বরের শুরুতে সারা দেশে ইঞ্জিনিয়ারিং (JEE-Main) এবং ডাক্তারি প্রবেশিকা (NEET-UG) পরীক্ষা হওয়ার দিন ধার্য হয়েছে। এর জন্য কেন্দ্রের তরফে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নানা পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করা হলেও তা নিয়ে অসন্তোষ ও সংক্রমণের শঙ্কা রয়েছে নানা মহলে।

Advertisement

শুরু থেকেই সেপ্টেম্বরে পরীক্ষা নেওয়ার এই সিদ্ধান্তের বিরোধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিকবার তিনি এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে গোটা দুয়েক চিঠিও লিখেছেন তিনি। মঙ্গলবার জয়েন্ট ও নিট পিছোনোর দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে দ্বিতীয় চিঠিটি লিখেছেন মমতা। তা সত্বেও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী নিজের অবস্থানেই অনড় রয়েছেন। অর্থাৎ বিরোধীদের আপত্তি সত্বেও নিট এবং জয়েন্ট সেপ্টেম্বরের শুরুতেই হবে।

Advertisement

কেন্দ্রের এই অনড় অবস্থানকেই হাতিয়ার করেছে কংগ্রেসও। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিট বিরোধী আন্দোলন শুরু করেছে তারা। সোনিয়া গান্ধী, মমতা-সহ আরও জনা ছ’য়েক বিজেপি বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে আজ বৈঠকে বসছেন। নিট-জয়েন্ট পিছোনোর দাবি ছাড়া জিএসটির বকেয়া আদায়ের প্রসঙ্গটিও এই বৈঠকে আলোচিত হবে। কেন্দ্র সরকার রাজ্যের জিএসটির ভাগ না দেওয়ার যে পরিকল্পনা করছে, তার বিরুদ্ধেও এবার পালটা পরিকল্পনা করতে চায় বিরোধীরা। দ্বিতীয় দফায় দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ইস্যুতে সোনিয়ার বিরোধী জোট গড়ার উদ্যোগ তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষত বৈঠকে মমতাকে শামিল করা সোনিয়ার তরফে একটি বড় রাজনৈতিক পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।