কালকেই মুখ্যমন্ত্রীর মেদিনীপুরে জনসভা, সাজ সাজ রব গোটা জেলায়

Advertisement

Advertisement

একুশের নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি পুরোদমে ভোট প্রচারের উদ্দেশ্যে মাঠে নেমে পড়েছে। কেউ নির্বাচনের বাজারে কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দিতে চায় না। বিজেপি গোটা বাংলা জুড়ে তাদের নেতাকর্মীদের নিয়ে প্রচার করা শুরু করে দিয়েছে। অবশ্য পিছিয়ে নেই শাসকদলও। আগামীকাল মেদনীপুরের জনসভা করতে পৌঁছে যাচ্ছেন খোদ মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুই মেদিনীপুরের সকল বিধায়ককে সেই সভায় উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দলের তরফ থেকে। পুরো বঙ্গ রাজনীতির পাখির চোখ এখন কালকের মমতার সভা।

Advertisement

কিছুদিন আগে থাকতে বঙ্গ রাজনীতিতে শুভেন্দু ইস্যু নিয়ে প্রবল চাপানউতোর চলছে। শুভেন্দুর রাজনৈতিক অবস্থান এখন কারোর কাছে স্পষ্ট নয়। বরং শুভেন্দু নিজের অবস্থান প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কৌশলী মন্তব্য করে বলেছিল, “আমি বাংলার ছেলে, ভারতের ছেলে।” এই পরিস্থিতিতে মেদনীপুরের জনসভা করতে যাচ্ছেন শাসক দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর কালকের সভায় মুখ্যমন্ত্রী কি বলেন তার দিকেই চেয়ে আছে সবাই। এই জনসভা যে বেশ হেভিওয়েটের তা আগে থাকতেই ঠাহর করা যাচ্ছে।

Advertisement

তবে মুখ্যমন্ত্রীর জেলায় সভা করতে আসার আগেই চোখে পড়ল সাজ সাজ রব। গোটা মেদিনীপুর কার্যত মুড়ে ফেলা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টারে। কোন পোস্টারে লেখা আছে, “মমতার সাথে মেদিনীপুর”; আবার কোন পোস্টারে লেখা আছে “দিদির সাথে মেদিনীপুর”। এছাড়াও, “একুশেও মমতা”, “মা তুমি আছো তাই নিশ্চিন্তে আছি আমরা সবাই” ইত্যাদি পোস্টার বেশ চোখে পড়ছে। গোটা মেদিনীপুরবাসি একদিকে যেমন মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিকে চেয়ে বসে আছে, ঠিক তেমনভাবেই গোটা বঙ্গবাসী ও রাজনৈতিক মহল কালকের মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ ও শুভেন্দু ইস্যু নিয়ে কি কথা বলবে তার জন্য অপেক্ষা করছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকেও কালকের জনসভায় উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানের পরিস্থিতির নিরিখে আশা করা যায় আগামীকাল অধিকারী পরিবারের কেউই জনসভায় উপস্থিত থাকবেন না। একদিকে শুভেন্দু অধিকারীর বাবা শিশির অধিকারী অসুস্থ। তার পায়ে হয়েছে ছোট্ট অস্ত্রপ্রচার। আর অন্যদিকে শুভেন্দু তৃণমূলের “বিদ্রোহী সিপাহী”। কালকের মেদিনীপুরের জনসভা রাজনৈতিকভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ, তা বোঝাই যাচ্ছে।

Recent Posts