আজকের ঘটনার দায় রাজ্য সরকারকে নিতে হবে, তোপ দাগলেন সিপিএম নেতা মোহাম্মদ সেলিম

বাম দলনেতা মহম্মদ সেলিম (Md. Selim) বললেন, "যারা দাবি তুলছে, দুর্নীতির দিকে আঙুল তুলছে, তাদের উপরে পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে।"

Advertisement

Advertisement

আজকের ঘটনা সম্পূর্ণ দায় নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠিচার্জের পর আগামীকাল রাজ্য জুড়ে ১২ ঘন্টার বাংলা বন্ধের কথা ঘোষণা করলেন বাম সংগঠনগুলি। বাম দলনেতা মহম্মদ সেলিম (Md. Selim) বললেন, “যারা দাবি তুলছে, দুর্নীতির দিকে আঙুল তুলছে, তাদের উপরে পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে।” পাশাপাশি আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে তিনি হুংকার দিলেন। এছাড়াও তিনি ঘোষণা করে দিলেন বামপন্থীরা দমবে না। সরকারের এই ভূমিকাকে তিনি জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করলেন। পাশাপাশি রাজ্যবাসীকে প্রতিবাদে সামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মোহাম্মদ সেলিম। এছাড়াও বাম এবং বাম সহযোগী দলের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিলেন বিমান বসু (Biman Bose)।

Advertisement

আগেই এই কর্মসূচি ঘোষণা করা ছিল। সেই নিয়ে নবান্ন অভিযানের সামিল হতে কলেজস্ট্রিট চত্বরে দশটি বাম সংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা জড়ো হয়েছিলেন। তারপর মিছিল শুরু হয়। ধর্ম তলায় ডরিনা ক্রসিং এর সামনাসামনি পৌছতেই মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। সেখানে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে তুমুল ধস্তাধস্তি হয় বাম সমর্থকদের। রণক্ষেত্র চেহারা নেয় এলাকা। শেষ পর্যন্ত লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হটান পুলিশকর্মীরা। তারপরে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটিয়ে ও জলকামান ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। লাঠির আঘাতে আহত হন বেশ কিছু বাম সমর্থক। কাঁদানে গ্যাসের ফলে অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েন।

Advertisement

এই ঘটনার প্রতিবাদে আবার মৌলালি তে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন বাম ছাত্র যুব সংগঠনের সদস্যরা। সেখানে তাদের উপরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ঢিল ছোড়া হয়। বিপরিত পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে জলকামান ছুড়ে আক্রমণ করে। পুলিশের লাঠিচার্জে আহত হয়ে মেডিকেল কলেজ এবং এসএসকেএম-এ অনেকে ভর্তি হন। এই ঘটনার পরবর্তীতে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty) বলেন, “হাসপাতালে বহু ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।” এছাড়াও তিনি বলেন, “যাহাই ছাপান্ন, তাহাই নবান্ন।” কলকাতার রাস্তায় ব্যারিকেড করে পুলিশকে ছাত্রদের মোকাবিলা করতে হচ্ছে। এর থেকে লজ্জার মনে হয় আর কিছু হতে পারে না।”

Advertisement

Recent Posts