মুখ্যমন্ত্রীর আজ বাঁকুড়া সফরের শুরু, কাল বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রীর সাথে

Advertisement

Advertisement

আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস জোরকদমে ভোট প্রচারের উদ্দেশ্যে মাঠে নেমে পড়েছে। আজ অর্থাৎ সোমবার জেলা সফর শুরু করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি গতকাল দুপুরেই বাঁকুড়ায় পৌঁছে গিয়েছেন। আজ থেকেই তিনি প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক বৈঠক করবেন। কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাঁকুড়া সফরের পর মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর রাজনৈতিকভাবে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Advertisement

গতকাল দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়া পৌঁছে গিয়েছিলেন। আজ অর্থাৎ সোমবার তিনি প্রথমেই খাউতায় সিধু কানু স্টেডিয়ামে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেবেন। সেখানেই তিনি উপভোক্তাদের তাদের হাতে সরকারি সাহায্য তুলে দেবেন। তারপর একাধিক শিলান্যাস ও উদ্বোধন কর্মসূচি আছে তার। এরপর কালকে বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে তার একটি প্রশাসনিক বৈঠক আছে। অবশ্য প্রশাসনিক বৈঠকের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে তিনি একটি ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন। ভার্চুয়াল বৈঠকে করোনার টিকা কি করে আনা যাবে বা কারা আগে পাবে সেই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। তারপরের দিন বুধবার সুনুকপাহারি তে একটি দলীয় সভায় তিনি যোগদান করবেন। বুধবার সমস্ত রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাজকর্ম সেরে বৃহস্পতিবার কলকাতায় ফিরে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

এবারের বাঁকুড়া সফরে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক আধিকারিকদের সামনেই আদিবাসী এলাকায় এবং জঙ্গলমহল এলাকায় কি কি ধরনের কাজ হয়েছে এবং ভবিষ্যতে কি কি কাজ করা যায় সেই নিয়ে বিস্তর আলোচনা করবেন। তৃণমূল সূত্রের খবর মুখ্যমন্ত্রীর এই বাঁকুড়া সফর মোটেও লোক দেখানি বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মত নয়। তিনি এই সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করবে। রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি শ্যামল সাঁতরা জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর এই বাঁকুড়া সফর ঘিরে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ভাবে আরও গতি আসবে জেলায়।

Advertisement

প্রসঙ্গত আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ায় তৃণমূল দুটি সিট হারিয়েছিলেন। খোদ মন্ত্রী দাঁড়িয়েও জয়লাভ হয়নি। তাই মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর রাজনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে আদিবাসী ভোট ব্যাংকের দিকে নজর পরেছে বিজেপির। তাই জঙ্গলমহলের এক জেলা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী আগামী বিধানসভা নির্বাচনের সুর বেঁধে দিতে পারেন। তৃণমূল বিজেপির ভোট প্রচারে এরকম হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখে বলাই যায় বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গেছে।

Recent Posts