একুশের বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোটে আজ মমতা বনাম শুভেন্দু মহাযুদ্ধ প্রসঙ্গ নিয়ে সরগরম গোটা বঙ্গ রাজনীতি। গতকাল থেকেই নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রকে রীতিমতো সিল করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্থলপথে নাকা চেকিং এবং আকাশপথে হেলিকপ্টার ও ড্রোন দিয়ে নজরদারি চলছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় এলাকায় রুট মার্চ করছে। কিন্তু এর মাঝেও সকাল থেকেই বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে আসছে। সকাল থেকে শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামে ঘুরে বেড়ালেও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কার নন্দীগ্রামের ভাড়া বাড়িতে বসেই ভোট পরিচালনা করছিলেন। কিন্তু নন্দীগ্রামের বয়াল ভোটকেন্দ্র থেকে একাধিক অভিযোগ আসার পর তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামের বয়াল ভোটকেন্দ্রতে পৌঁছালে তৃণমূল সমর্থকরা দিদির কাছে অভিযোগ জানায় যে সকাল থেকে ওই ভোটকেন্দ্রে ছাপ্পা ভোট পড়েছে। এই সময় হঠাৎ করে বিজেপি সমর্থকরা এসে মমতার গাড়ি ঘিরে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে শুরু করে। ফলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায় ও তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যাওয়ার উপক্রম তৈরি হয়। এই সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর অতিরিক্ত বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঝামেলা থেকে বিরত রাখে উত্তপ্ত জনতাদের। মুখ্যমন্ত্রীকে সুরক্ষিত রাখতে তাকে ভোট কেন্দ্রের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ভোট কেন্দ্রের ভেতরে বসে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে তার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি কটাক্ষ করে বলেছেন, “সকাল থেকে এই বয়াল ভোটকেন্দ্রে ছাপ্পা ভোট পড়ছে। ৮০ শতাংশ ছাপ্পা ভোট পড়েছে। এখানকার মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আমার কাছে ৬৩ টি অভিযোগ জমা পড়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী বা রাজ্য পুলিশ কোনরকম ব্যবস্থা নেয়নি। নন্দীগ্রামে হিন্দিভাষী গুন্ডা এবং বহিরাগত ঢুকে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে। অমিত শাহের ইশারায় এই সমস্ত ঘটনা ঘটছে। তৃণমূল কংগ্রেস ছাপ্পা ভোটের প্রতিবাদ করে আদালতে যাবে।” এছাড়াও জানা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সাথে ঘটনা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। রণক্ষেত্র বয়ালে মমতার উপস্থিতি আবার তার নিরাপত্তা সামনে বড় জিজ্ঞাসা চিহ্ন দাঁড় করাচ্ছে।