ইভিএম কারচুপি রুখতে তৃণমূল বুথ কর্মীদের সাথে বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নজর তৃণমূল স্তরের সংগঠনে

আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের বিধায়ক, জেলা সভাপতি ও পদাধিকারীদের নিয়ে বৈঠক করবেন

Advertisement

Advertisement

একুশে বিধানসভা নির্বাচন দোড়গোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নিচ্ছে। তারই মধ্যে শাসকদলের প্রধান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘাসফুল শিবিরকে সামনে থেকে দাঁড়িয়ে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাই এবারের একুশে নির্বাচন কতটা গুরুত্বপূর্ণ বা নির্বাচনে রণনীতি তৈরি করতে দলের নেতাকর্মীদের বৈঠকে ডাকলেন তিনি। যারা ভোট করায় অর্থাৎ ভোটের দিন ইভিএম থেকে বুধের সঙ্গে সরাসরি যারা যুক্ত থাকেন, তাদের মধ্যে প্রত্যেক বিধানসভা থেকে ৫ জনকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করবেন। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলের বিধায়ক, জেলা সভাপতি ও পদাধিকারীরা এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন।

Advertisement

নির্বাচনের সময় প্রতিবার বিতর্ক সৃষ্টি হয় ইভিএম মেশিনে কারচুপি নিয়ে। এবার তাই ভিভিপাট মেশিনে যে স্লিপ দেওয়া হয় তার ১০০ শতাংশ প্রকাশ করার দাবি তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এ বিষয়ে বলে দিয়েছেন যে এই স্লিপ প্রকাশ করলে কে কাকে ভোট দিলে সেটা বোঝা যাবে। তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব বারবার দলের কর্মীদের ইভিএম মেশিন সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য ভালো করে বুঝে নিতে বলেছেন। তিনি একথা বলেছেন কারণ ভোটের দিন বুথে যারা বসবেন বা ইভিএম এর কাছে তারা যখন থাকবেন তখন যদি কোন ভুল ত্রুটি তারা দেখতে পায় তাহলে তারা দ্রুত সেটা বুঝতে পারবে। নির্বাচনে কোনভাবেই ভুল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভোটগ্রহণ মেনে নেবেন না তিনি।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ইভিএম কারচুপি প্রসঙ্গে বলেছেন, “নানা সময় ইভিএম কারচুপি হয়েছে। আমরা বিভিন্ন সময়ে তা নিয়ে সরব হয়েছি। এক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ হওয়া দরকার। কিন্তু তারপরে যাতে কোনরকম ফাঁক না থেকে যায় তার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। আমাদের কর্মীরা ইভিএম সম্বন্ধে সব কিছু জানলে কোন ভুল বা কারচুপি হলে তারা ব্যবস্থা নিতে পারবে। আর সেই মূল্যেই এই বৈঠক হবে।”

Advertisement

ইভিএম প্রশিক্ষণ ছাড়াও ১৮ ফেব্রুয়ারির মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক রাজনৈতিক দিক থেকে যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হবে তা অস্বীকার করা যায় না। জনো নেত্রী বারংবার বলেন যে বুধ কর্মীরা তার দলের সম্পদ। সম্প্রতি দলের তাবড় তাবড় নেতারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করছে। এই মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো বলতে চাইছেন তৃণমূল লেভেলের ছোট ছোট দলের কর্মী তার কাছে সমানভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।