“আম্ফানের থেকেও ভয়ঙ্কর যশ”, সতর্ক থাকতে একাধিক ব্যবস্থার ঘোষণা মমতার

Advertisement

Advertisement

করোনা সংকটের মাঝেই ভ্রুকুটি দেখাচ্ছে যশ ঝড়ের পূর্বাভাস। বিশেষজ্ঞদের মতে ৭২ ঘন্টা ধরে এই ঘূর্ণিঝড় তাণ্ডব চালাতে পারে। তাই আজ দুপুরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা বিষয়ে এক জরুরীকালীন বৈঠকে বসেন। তিনি সেই বৈঠকে সাধারণের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়েছেন যে যাতে না কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই ঝড়ের সাথে মোকাবেলা করতে যায়। এছাড়া তিনি রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা প্রশাসনকে সর্বশক্তি দিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন। সেইসাথে তিনি বলেছেন, “নেচার আমাদের হাতে নেই। সব ঈশ্বর আল্লাহই জানেন।”

Advertisement

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “নবান্ন এবং উপান্ন থেকে আগামী ৪৮ ঘন্টা সারাক্ষণ নজরদারি চলবে। ইতিমধ্যেই কাজে লেগে পরেছে কন্ট্রোল রুম। উদ্ধার কাজ চালানোর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে স্পেশাল টিম। মোট ৫১ টি টিম ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিপর্যয় মোকাবিলার কাজ করবে। এছাড়া ৪৫০ টেলিকম রেস্টোরেশন টিম ও ১০০০ পাওয়ার রেস্টোরেশন টিম তৈরি করা হয়েছে। হাসপাতালগুলিতে পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া উপকূলবর্তী মানুষের জন্য ত্রাণ শিবির তৈরি হয়েছে।”

Advertisement

সাধারণ মানুষের পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ মৎস্যজীবীদের অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, “দয়া করে মৎস্যজীবীরা এই ঝড়ে সমুদ্রে যাবেন না। আপনাদের অনেক আগে থাকতেই সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে। তবু কোথাও-না-কোথাও সমুদ্রে গিয়ে দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়। আমফানের সময় আমরা অনেককে হারিয়েছি। আর ভুল করবেন না। সমুদ্রে যাতে একটাও না নৌকা বা বোট থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।” এছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে বর্তমানে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উপকূল এলাকার মানুষজনকে সরিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। তাদের জন্য একাধিক ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। ত্রান শিবিরে প্রত্যেক মানুষকে করোনা বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement