বিজেপি নেতা প্রলয় পালকে ফোন করা নিয়ে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নন্দীগ্রামে ভোটের জন্য প্রলয় পালের কাছে মমতার সাহায্যের ভয়েস রেকর্ড উথালপাথাল করে দিয়েছিলে বঙ্গ রাজনীতিকে

Advertisement

Advertisement

একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির প্রস্তুতি তুঙ্গে। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের জন্য প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী একাধিক জনসভা করেছেন। আর তার মধ্যে থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি জনসভায় দাঁড়িয়ে অকপট স্বীকারোক্তি করেছেন যে তিনি বিজেপির প্রলয় পালকে ফোন করেছিলেন। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগে নন্দীগ্রামে ভোটযুদ্ধে সাহায্যের জন্য প্রলয় পালকে ফোন করেছে এমন কথা বঙ্গ রাজনীতিতে চাউর হলে রীতিমতো তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্বে সরগরম হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

Advertisement

তবে আজ নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বীকার করে নিয়েছেন যে তিনি বিজেপি নেতা প্রলয় পালকে ফোন করেছিলেন এবং স্বীকার করার পর তিনি যথেষ্ট সাধারণ ভঙ্গিতে বলেছেন, “একজন ভোটারকে ফোন করার অধিকার আমার আছে। আমি কিছু ভুল কাজ করিনি। নরেন্দ্র মোদী রোজ তৃণমূলের ৫০ জনকে ফোন করে। তখন তো দোষ হয় না। এখন আমার ক্ষেত্রে দোষ কেন। বরং কোন ব্যক্তিগত কথাকে ভয়েস রেকর্ড করে বিনা অনুমতিতে চাউর করা আইনত অপরাধ। এর জন্য ওই বিজেপি নেতার শাস্তি হওয়া দরকার।”

Advertisement

এছাড়া মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেছেন, “নন্দীগ্রামের ওই যে ভদ্রলোকটি। আমার কাছে খবর এসেছিল যে কেউ কেউ কথা বলতে চায়। কেউ কথা বলতে চাইলে কি আমি না বলব? তা হলে তো আবার বলবে অহঙ্কারী? কথা বলতে চাইলাম, কিন্তু বলল না। আর কথা বললে, তা রেকর্ড করে বাইরে ছড়িয়ে দেবে। তা ছাড়া এটা তেমন কোনও সিরিয়াস ঘটনা নয়। আমি এমনিতে ওকে উল্টোপাল্টা কিছু বলিনি। আমি বলছি ভালো থেকো সুস্থ থেকো। এতে ভুল কিছু নেই।”

Advertisement