মাস্টারস্ট্রোক! তাজপুর বন্দর উন্নয়নে ১৫০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে, সাথে ২৫০০০ কর্মসংস্থানের ঘোষণা মমতার

Advertisement

Advertisement

আসন্ন বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের আগে জনগণের নজর কাড়তে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল তাদের সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। বাংলার শাসক দল কোনভাবেই তাদের বাংলার শাসনভার ক্ষমতা হারাতে চায় না। আজকে মেদিনীপুরে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তিনি জনসভা থেকেই তাজপুর সমুদ্র বন্দর নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন। নির্বাচনের আগে কোনোভাবেই সাধারণ মানুষকে চটাতে চায় না মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে বিজেপি রাজ্য শাসকদলকে শিল্পবিরোধি তকমা দিয়েছে। সেই তকমা এক কথাতেই উড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুরের সভাই আজ তাজপুর সমুদ্র বন্দর তৈরি নিয়ে বড় ঘোষণা করেছেন। এই বন্ধ তৈরিতে কমপক্ষে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই বন্দর তৈরি হয়ে গেলে এটি হবে রাজ্যের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর। এই বন্দর তৈরি হলে যেমন একদিকে রাজ্যে শিল্পে গতি আসবে অন্যদিকে এই বছরে প্রায় রাজ্যের ২৫০০০ মানুষের কর্মসংস্থান হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই বন্দর নির্মাণকাজে অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা। রাজ্যবাসী ও মেদিনিপুর বাসির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই পদক্ষেপ যে ঐতিহাসিক তা বলাবাহুল্য।

Advertisement

তাজপুরে এই বন্দর তৈরি হয়ে গেলে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটবে বলে মনে করছেন সকলেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, খড়গপুর সংলগ্ন এলাকায় লোহা ও ইস্পাত কারখানা বৃদ্ধি পাবে এই বন্দর তৈরি হলে। এছাড়া পুরুলিয়া, বর্ধমান, বাঁকুড়া জেলায় উল্লেখযোগ্য ভাবে লোহা রপ্তানি বেড়ে যাবে। বন্দর তৈরি হলে ১৩ শতাংশ লৌহ ও ইস্পাত রপ্তানি বেড়ে যাবে। এছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও জাপান থেকে সি ফুড রপ্তানি করা যাবে। এর ফলে লক্ষ লক্ষ মৎস্য ব্যবসায়ী উপকৃত হবেন। সি ফুড এর জন্যই নতুন পরিকাঠামো তৈরি হবে। এছাড়াও এই বন্দর তৈরি হলে রাজ্যের প্রায় ২৫০০০ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর রাজ্যসভার সদস্য ডেরেক ও’ব্রায়েন বিষয়টি টুইট করেছেন।

Advertisement

Recent Posts