নবান্ন আমরা স্যানিটাইজ করব, বিস্ফোরক লকেট চট্টোপাধ্যায়

Advertisement

Advertisement

কলকাতা: বিজেপির নবান্ন অভিযানকে ঘিরে উত্তপ্ত গোটা শহর। একদিকে যেমন এই অভিযান রুখতে তৎপর পুলিশ, উল্টোদিকে আবার অভিযানকে সফল করতে মরিয়া বিজেপি। তাই সব মিলিয়ে দিনভর তিলোত্তমার রাজপথ কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে। যাতে অশান্তি এড়ানো যায়, তার জন্য আজ, বৃহস্পতিবার এবং আগামিকাল, শুক্রবার নবান্ন বন্ধ রাখা হয়েছে। যদিও রুটিনমাফিক স্যানিটাইজেশনের যুক্তি দিয়ে বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তবুও বিজেপির দলীয় নেতৃত্ব মনে করছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়ে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে নবান্ন বন্ধ থাকলেও বিজেপির নবান্ন অভিযানকে ঘিরে অশান্তি এড়ানো গেল না। রাস্তায় রাস্তায় মোতায়েন ছিল ব্যারিকেড, পুলিশের টহলদারি এবং কমব্যাট ফোর্স। কিন্তু তাও যত সময় এগিয়েছে, ততই রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে গোটা শহর। আর বিভিন্ন জায়গা থেকে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে একে একে বিস্ফোরক মন্তব্য করছেন দলের নেতা-নেত্রীরা। এমনই এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

করোনা পরিস্থিতিকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কাতারে কাতারে লোক এই অভিযানে যোগ দিয়েছে। হেস্টিংস, জিটি রোড সংলগ্ন এলাকায় কার্যত অশান্তি চরমে ওঠে। পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে লকেট চট্টোপাধ্যায় হেস্টিংস মোড়ে ছিলেন। তার সঙ্গী ছিল কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আর সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে লকেট বলেন, ‘এতটা আমরা এসে পৌঁছেছি। বাকিটা ছ’মাসে নবান্নে পৌঁছে যাব। তখন নবান্নে ঢুকে পড়বো এবং আমরা এখানে স্যানিটাইজার করব।’ এভাবেই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন লকেট।

Advertisement

প্রসঙ্গত, সাঁতরাগাছি, ডানকুনি, হেস্টিংস, ডুমুরজলা এলাকায় কার্যত বিজেপির নবান্ন অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। হাওড়া ময়দানের কাছে বোমা ফাটানো হয়। টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে দেওয়া হয়। টায়ার জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে পরিস্থিতি হাতের বাইরে যেতে দেখে লাঠিচার্জ করতে শুরু করে পুলিশ। সেখানে দিলীপ ঘোষের ওপর লাঠিচার্জ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। এমনকি পুলিশের লাঠিচার্জে রাজু বিস্ত লুটিয়ে পড়েন বলেও অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার গোটা শহর এমনটা বলাই যায়।

Advertisement