শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, সমাজে কন্যা ও মহিলাদের নির্যাতন করা হয়েছিল। কিন্তু এখন সময় পাল্টেছে। একইসাথে পাল্টে গিয়েছে সমাজব্যবস্থা। তাই, পাল্টেছে মেয়েদের প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গিও। এতদিন আমাদের সমাজে কন্যাদের যথাযথ সম্মান দেওয়া হতো না, কিন্তু এখন আমাদের গণতন্ত্র এত শক্তিশালী হয়েছে যে কন্যারাও কোনো বৈষম্য ছাড়াই প্রশাসন থেকে সেনাবাহিনী পর্যন্ত দেশের সেবা করছে। এমতাবস্থায় সরকারও তাদের পড়াশোনা নিয়েও চিন্তিত। বিভিন্ন রাজ্য সরকারের তরফে মহিলাদের উন্নয়নের জন্য একাধিক স্কিম থাকলেও এবারে ভারত সরকার তাদের উন্নতির কথা মাথায় রেখে একটি স্কিম নিয়ে এসেছে। বর্তমানে সরকারের প্রকল্প তালিকায় এমন একটি স্কিম রয়েছে যার অধীনে সরকার আপনার মেয়েকে ১ লাখ টাকার বেশি দিয়ে থাকে সরকার। চলুন জেনে নেই এই স্কিম সম্পর্কে।
এই প্রকল্পের অধীনে, সরকার আপনার মেয়ের নামে ৫ বছরের জন্য একটি তহবিলে ৬-৬ হাজার টাকা করে জমা করে। এইভাবে আপনার মেয়ে সন্তানের নামে মোট ৩০,০০০ টাকা জমা হয়। তারপর যখন আপনার মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি হয়, তখন সরকার তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২,০০০ টাকা জমা করে। একইভাবে, নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৪,০০০ টাকা, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৬,০০০ টাকা এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য ৬,০০০ টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়। এর পরে, যখন আপনার মেয়ে সন্তানের বয়স ২১ বছর হয়, তখন তাকে ১ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। এখন সরকার এই স্কিমে পরিমাণ বাড়িয়েছে, তারপর শেষ অর্থও বাড়বে।
যে কোনও ব্যক্তি তার মেয়ের সমস্ত নথি অঙ্গনওয়াড়িতে জমা দিতে পারেন বা সেখানে কর্মরত কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। পাবলিক সার্ভিস সেন্টার, প্রজেক্ট অফিস বা যেকোনো ইন্টারনেট ক্যাফে থেকে আবেদন করা যাবে এই প্রকল্পের জন্য। এর পরে আপনার আবেদনটি অনুমোদনের জন্য প্রকল্প অফিসে যাবে, সেখানে আবেদনটি যাচাই বাছাই করা হবে এবং আবেদনটি অনুমোদন বা বাতিল করা হবে। আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর আপনার মেয়ের নামে ১ লাখ ৪৩ হাজার টাকার সার্টিফিকেট দেবে সরকার। সরকার সম্প্রতি এই প্রকল্পে প্রাপ্ত পরিমাণ বাড়িয়েছে। আগে এই স্কিমের অধীনে ১ লাখ ১৮ হাজার টাকার শংসাপত্র পাওয়া যেত।
এই স্কিমের সুবিধা রাজ্যের সেই সব মেয়েদের দেওয়া হয়, যাদের বাবা-মা মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা এবং তারা আয়কর প্রদানকারী নন। এই প্রকল্পের নাম লাডলি লক্ষ্মী যোজনা। এবং এটি পরিচালনা করছে মধ্যপ্রদেশ সরকার।