সলমন খান ও কামাল আর খান! দুজনকে বলিউডে সকলের চেনা মুখ। এদের৷ দুজনেরব বন্ধুত্ব নয় বরং বিবাদের জন্য বারংবার খবরের শিরোনামে আসেন। বলিউডেএ বহু ছবিরই সমালোচনা, প্রশংসা করে থাকেন এই স্বঘোষিত ফিল্ম সমালোচক কামাল আর খান। তবে কোনো এক অজ্ঞাত শত্রুতার জেরে বেছে বেছে ভাইজানের ছবিগুলিরই বারবার তীব্র নিন্দা করেন কেআরকে। এবছর ভাইজানের মুক্তি পাওয়া ‘রাধে’ , ‘অন্তিম’ দুটি ছবিরই তীব্র সমালোচনা করেছিলেন তিনি। এমনকি ‘রাধে’ সিনেমার খারাপ রিভিউয়ের পর কেআরকে কে মানহানির মামলার নোটিসও পাঠিয়েছিলেন সলমন নিজে।
তারপর থেকেই যেন আরো বেশি করে ভাইজানের সঙ্গে ‘তিক্ততা’র সম্পর্ক তৈরী হয়েছে কে আর কে’র। তাই তিনি ভাইজানের সাথে আরো বেশি পাঙ্গা নিতে শুরু করেছেন। সম্প্রতি সাপের কামড় খাওয়া নিয়ে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিলেন ভাইজান। আর তার জন্মদিনের ঠিক আগে আগে সাপে কাটে তাঁকে। এরপরেই দুশ্চিন্তা ঘিরে ধরেছিল সল্লুর অনুরাগীদের। অপরদিকে এই বিষয়টাকে রসিকতার পর্যায়ে নিয়ে চলে এসেছেন কেআরকে।
সলমনের নাম না করে কেআরকে নিজের টুইটে লেখেন, ‘সাপটা নিজের কাজ তো ঠিকই করেছিল। কিন্তু বেচারা নিজেই মরে গেল! কারণ অন্যজনের মধ্যে বিষের পরিমাণ আরো বেশি ছিল।’ কেআরকে’র এই টুইটটি ভাইরাল হতে সময় লাগেনি। যতই নাম না করে টুইট করুন না কেন, সলমন অনুরাগী বুঝতে পেরেছেন কার উদ্দেশ্যে এই ট্যুইট। তাই অনুগামীদের হাত থেকে রেহাই পাননি কামাল আর খান।
একজন ভাইজানের অনুগামী লিখেছেন, ‘বিষ তো আপনার মধ্যে ভরপুর রয়েছে। যে ভাবে মানুষের ব্যথা, দুর্ঘটনা নিয়ে আপনি মজা করেন, আল্লাহকে তো ভয় পান!’ আরেক জন অনুগামী কে আর কে সরাসরি কটাক্ষ করে লেখেন, ‘অন্যজনের কষ্টে যে ভাবে আপনি আনন্দ পাচ্ছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে যে কী ধরনের মানুষ আপনি। সত্যি বলতে আপনি মানুষ নন। একই ভাবে কষ্ট আপনাকেও পেতে হবে।’।
গত সোমবার ৫৬ তে পা দিয়েছেন সলমন। অনুরাগীদের ভয় কাটিয়ে তিনি এদিন জানান, সাপ ফার্ম হাউসের একটি ঘরে ঢুকে এসেছিল। এরপরেই বাচ্চারা ওই ঘটনাত ভয় পেয়ে যায়। তাই একটি লাঠি দিয়ে সাপটিকে তুলে তিনি বাইরে ফেলে দিতে যান। কিন্তু লাঠি বেয়ে ধীরে ধীরে সাপটি সলমনের হাতে উঠে আসে। সঙ্গে সঙ্গে অন্য হাত দিয়ে তৎক্ষণাৎ সেই সাপটিকে চেপে ধরেন তিনি। এরপরেই সেখানকার বাচ্চাদের শোরগোল শুনে ওই জায়গায় ছুটে এসেছেন ফার্ম হাউসের কর্মীরা। তারা সাপটিকে বিষধর ভেবে আরো চিৎকার শুরু করে। এত গণ্ডগোলের মাঝে সাপটি তিন তিনবার ছোবল মারে সল্লুর হাতে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অভিনেতাকে । এরুর সাপটিকেও সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে তারপর জানা যায় যে সেটি বিষধর নয়। ইঞ্জেকশন নিয়ে ছয় ঘন্টা হাসপাতালে থাকার পর রবিবার সকালে ছাড়া পান অভিনেতা। এখন ভাইজান অনেকটাই সুস্থ আছেন।