ব্যবসা-বানিজ্য ও অর্থনীতি

KOLKATA METRO : মমিনপুর স্টেশনের জন্য জমি দিতে চেয়েছিল রাজ্য সরকারই, পুরনো কথা মনে করিয়ে দিল মেট্রো কর্তৃপক্ষ

রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জমি দিতে চাওয়া হয়েছিল ২০২২ সালের একটি বৈঠকে

Advertisement

Advertisement

মমিনপুর স্টেশনের জন্য জমি দিতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। এই কথা আজ আবারো মনে করিয়ে দিল মেট্রো রেলওয়ে। বডিগার্ড লাইনস এর জমির কিছু অংশ ব্যবহার করে মোমিনপুর স্টেশন তৈরি করার প্রস্তাব রেখেছিল মমতা সরকার। সেই সময় রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা এই জমি ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন বলে জানিয়ে দিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। বডিগার্ড লাইনের জমি নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধার পরে, বর্তমানে রাজ্য সরকারের সঙ্গে মতবিরোধ শুরু হয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষের।

Advertisement

মেট্রো কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই লাইনের জন্য কিন্তু জমি দিতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার নিজেই। সেই সময় যাবতীয় জটিলতার অবসান ঘটাতে রাজ্য সরকার নিজে এগিয়ে এসে এই জমি ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করেছিল মেট্রোকে। আর এবারেও সেই একই যাবতীয় জটিলতার অবসান ঘটানো হোক, সেটাই চাইছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। যদি কোন ভাবে রাজ্য সরকার সহায়তা না করে তাহলে আখেরে কিন্তু সমস্যা হবে মেট্রোর। সমস্যা হবে সাধারণ মানুষের। সেই নিরিখে এবারে পুরনো কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন কলকাতা মেট্রোর একাংশ।

Advertisement

আদতে জোকা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত রুটে এই মুহূর্তে কাজ বেশ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। কিন্তু মমিনপুর থেকে এই মেট্রো সুরঙ্গ পথে ঢোকার কথা। সুরঙ্গ তৈরি করার জন্য টানেল বোরিং মেশিন এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি ব্যবহার করার জন্য সেন্ট টমাস স্কুলের জমি ব্যবহার করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি মমিনপুর স্টেশনের একটা বিশাল অংশ তার মধ্যেই পড়ছে বলে জানা যাচ্ছে। আলিপুর বডিগার্ড লাইনের মাত্র ১০৯২ বর্গমিটার জমি এর মধ্যে পড়ছে। এই জমি ব্যবহার করার জন্য রাজ্য পুলিশ এবং মেট্রো নির্মাণ সংস্থা রেল বিকাস নিগম লিমিটেড এর মধ্যে বৈঠক হয়েছিল ২০২২ সালে। সেই বৈঠকে সংকটের সময় ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল, আলিপুর বডিগার্ড লাইনের কিছুটা জমি মোমিনপুর স্টেশন তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। আর সেই জমি নিয়ে যখন সমস্যা আবারও শুরু হয়েছে, সেই সময় পুরনো কথা আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ।

Advertisement