চেন্নাই বধ করে লিগ টেবিলের ‘থার্ড বয়’ কলকাতা নাইট রাইডার্স

Advertisement

Advertisement

আবুধাবি: আইপিএলের ইতিহাসে কলকাতা নাইট রাইডার্স চেন্নাইকে হারিয়েছে, এমন ঘটনা হাতে গোনা কয়েকবার হয়েছে। অন্যান্য দলকে হারাতে সক্ষম হলেও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং চেন্নাই সুপার কিংসকে হারাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয় প্রত্যেকবার কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। এমনকি এই দুই দলকে কেকেআরের কঠিন প্রতিপক্ষ হিসেবে ধরে নেওয়া হয়। কিন্তু এবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে বসা আইপিএলের আসরে চেন্নাই সুপার কিংসকে খুব একটা সহজ ভাবে না হলেও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ১০ রানে হারিয়ে দিল বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের দল।

Advertisement

১৬৮ রান তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেছিল চেন্নাই৷ মাঝের ওভারগুলোতেও ম্যাচের রাশ নিজেদের দিকেই রেখেছিল ধোনি ব্রিগেড৷ কিন্তু ফিনিশিংটা ঠিকঠাক করতে পারল না বিশ্বের অন্যতম ‘সেরা ম্যাচ ফিনিশার’ হিসেবে যাঁকে ধরা হয়, সেই মহেন্দ্র সিং ধোনির দলই৷ ডেথ ওভারে নাইট বোলারদের দাপটে কার্যত হার স্বীকার করে নিতে হল চেন্নাইকে। ধোনির দলকে হারিয়ে লিগ টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এল নাইট শিবির। রানরেটের দিকে তাকালে সেটাও বেশ ভদ্রস্থ অবস্থাতেই রয়েছে। দলের জয়ে স্বাভাবিকভাবেই খুশি হয়েছেন কিং খান। করোনাবিধি মেনে সুদূর আবুধাবিতেও দলকে চিয়ার আপ করতে এদিনের ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন শাহরুখ।

Advertisement

Advertisement

১৬৮ রান তাড়া করতে নেমে চেন্নাই সুপার কিংসের প্রথম উইকেট পড়েছিল ৩০ রানে। শিবম মাভির বলে দীনেশ কার্তিককে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন দুরন্ত ফর্মে থাকা ফ্যাফ ডু’প্লেসিস। ১০ বলে ১৭ রান করেন তিনি। কিন্তু অন্যদিকে দুরন্ত ছন্দে ছিলেন শেন ওয়াটসন। কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচেই ৫৩ বলে ৮৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। বুধবার সেই মেজাজেই দেখা গিয়েছিল তাঁকে। তবে নারিনের বলে আউট হয়ে ৫০ রান করে ফিরে যান শেন ওয়াটসন ৷ অম্বাতি রায়ডুর সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৯ রান যোগ করে ওয়াটসন টানছিলেন চেন্নাইকে। কিন্তু ২৭ বলে ৩০ করে আউট হন রায়ডু। কমলেশ নাগারকোটির বলে শুভমন গিলকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৯৯ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় সিএসকে। কিন্তু তারপরেও সিএসকে-র দিকেই ঝুঁকে ছিল ম্যাচ ৷ ১৭তম ওভারে ধোনির স্টাম্প উড়ে যাওয়াটাই যেন ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায় ৷ এক সময় যে দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪৬ বলে ৬৭ রান ৷ সেই ব্যবধানই ক্রমশ বাড়তে থাকে ৷ যা পরে গিয়ে আর মেকআপ দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে নাইটের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে চেন্নাই সুপার কিংসকে।