Khorkuto: বেডরুমে তিন্নি আর বাবিনের ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলল গুনগুন, থাপ্পড় মারতে গেল পটকা

Advertisement

Advertisement

বর্তমানে স্টার জলসার চ্যানেলের জনপ্রিয় ধারাবাহিকের মধ্যে অন্যতম হল ‘খড়কুটো’। ঘড়িতে সন্ধ্যে ৭.৩০ বাজলেই বাঙালি বসে যাচ্ছে টিভির সামনে ‘খড়কুটো’ চালিয়ে।টেলিভিশনের এই জনপ্রিয় জুটির ভালোবাসা-মাখা দৃশ্য আর মুখোপাধ্যায় পরিবারের একাত্মবোধ আর ভালোবাসা মন ছুঁয়ে যাচ্ছে সকল দর্শকের। আর তাই তো এই ধারাবাহিক সারা বাংলার মা কাকিমার এত প্রিয়।

Advertisement

তবে এবার গল্পে এল খুব বড় ট্যুইস্ট যা দেখে সকলের চক্ষু চড়কগাছ। বেশ কয়েকদিন ধরে গুনগুনের দিদি তিন্নি, যে কিনা সৌজন্যের সহকর্মী, তাঁকে নিয়ে বেশ ঝামেলা চলছে পুরো পরিবারে। বিজয়ার দিন বাবিনের হাত থেকে সিঁদুর গিয়ে পড়ে তিন্নির মাথায়। আর তারপরই তিন্নি পাগল হয়ে বাবিনকে নিজের কাছে পাওয়ার জন্য। আর নিজেদের বৈবাহিক সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির প্রবেশ কোনোভাবে মেনে নিতে পারছে না গুনগুন। অন্যদিকে পিসিমণির মেয়ের এমন কাজ দেখে ঝামেলা লেগেছে পরিবারের মধ্যেও। 

Advertisement

তবে, গুনগুন নিজের ক্রেজির হয়ে কথা বলে। তবে সে সবচেয়ে বেশি অবাক হয় যখন সৌজন্য মিথ্যে কথা বলে সে ইনস্টিটিউটে আছে। কিন্তু পটকা অ্যান্ড বাকি হুল্লোড় গ্রুপ গুনগুনকে নিয়ে সেখানে পৌঁছলে বুঝতে পারে পুরোটাই ছিল বাবিনের মিথ্যে কথা। অন্যদিকে ফোনেও সৌজন্য বারবার পটকাকে বলতে থাকে সে রাতে কোথায় আছে জানাতে পারবে না কাউকে। আর তারপরই সক্কলে তিন্নির বাড়ি যায়। আর সেখানেই তিন্নিরই বেডরুমে পাওয়া যায় সৌজন্যকে বেশ ঘনিষ্ঠ অবস্থায়। যদিও সৌজন্য নিজের থেকে নয় বরং তিন্নি জোর করে জড়িয়ে ধরেছিল তিন্নি। কিন্তু, পরিবারের সকলকে সৌজন্য মিথ্যে কথা বলার জন্য অবিশ্বাস করতে থাকে সৌজন্যকেই।

Advertisement

সবকিছু দেখে হতবাক হয়ে যায় গুনগুন। সে কাঁদতে কাঁদতে পটকাকে বলে বাড়ি ফেরার কথা। বাবিন বারবার গুনগুনের সাথে একা কথা বলতে চাইলেও পটকা, মিষ্টি কেউই তার সাথে কথা বলতে দেয়না। বরং পরিবারের সকলকে, এমনকী স্ত্রীকেও মিথ্যে কথা বলার জন্য তাঁকে সকলে নানান বিরূপ মন্তব্য করে বসে। যদিও এভাবে গুনগুন আর সৌজন্যের পাশে তৃতীয় ব্যক্তির অনুপ্রবেশ কোনোভাবে মানতে পারছে না দর্শকও। এত ভালো একটা জুটির ভালোবাসকে এই ভাবে নষ্ট করে দেওয়ার জন্য ফের নিশানায় লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী, ধারাবাহিক দেখা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এবার এটাই দেখার গুনগুন সৌজন্যের ভুল বোঝাবুঝি কি দূর হবে নাকি আরো বেড়ে যাবে।