বায়ুদূষণ নেই, শিলিগুড়ি থেকে দেখা গেল কাঞ্চনজঙ্ঘা, এমনকি দেখা গেল রায়গঞ্জ থেকেও

Advertisement

Advertisement

তখন ঘড়ির কাঁটা ৫.৪০ ছুঁই ছুঁই। লাল আভায় ভরে গেল গোটা শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গের আকাশ। সাথে লাল হতে শুরু করে কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়াও। আর এর পরই ১০-১২ মিনিট ধরে রঙের খেলা দেখালো কাঞ্চনজঙ্ঘা। বিশেষজ্ঞ তথা পরিবেশবিদদের মতে করোনা পরিস্থিতিতে কমে গিয়েছে বায়ুদূষণ। আর এই বায়ুদূষণ কমে যাওয়ায় কেবল শিলিগুড়ি নয়, রায়গঞ্জ থেকেও দেখা গেল কাঞ্চনজঙ্ঘাকে।

Advertisement

 

Advertisement

ওইদিন সাংবাদিকদের এক পর্যটক জানান,”সে কি অপূর্ব দৃশ্য। হৃদয় আপ্লুত হয়ে গিয়েছে। অনেকটাই দেড়ি হয়ে গিয়েছিল আমাদের। কিন্তু এক্ষেত্রে যে এত ভালো একটি দৃশ্য দেখতে পাবো তা কখনও আশা করিনি।। এক কথায় ভালো লেগেছে।” অন্যদিকে অন্য এক পর্যটকের মতে, এ দৃশ্য তো ভালো লাগারই কথা। কিন্তু পরিকাঠামোগত উন্নতি সাধনের জন্য অনেকটাই নষ্ট করা হয়েছ টাইগার হিলের সৌন্দর্যকে। যা দেখে খুবই মর্মাহত তিনি। তিনি আশা করছেন যে এই উন্নয়নের কাজ মিটে গেলে আগের থেকে আরও উন্নত এবং সুন্দর টাইগার হিল দেখার সুযোগ তিনি পাবেন।

Advertisement

 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পরিবেশবিদ দের মতে অনেকটা কমে গিয়েছে দূষণের হার। যার ফলে ভারতের বেশ কয়েকটি স্থানে দেখা গিয়েছে বহু অপূর্ব দৃশ্য। গত মাসে সামাজিক গণমাধ্যমে অপর একটি দৃশ্য ভিডিও এর মাধ্যমে শেয়ার করা হয়। সেই ভিডিওতে গঙ্গার জলের স্বচ্ছতাকে তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এত স্বচ্ছ গঙ্গার জল ২০ বছরে দেখা যায়নি। ফলে কোভিড-১৯ এর এটি একটি ভালো দিক বললে ভুল কিছু বলা হবেনা বলে মনে করেন তারা। লকডাউনের মধ্যে অনেকটাই পুনরুজ্জীবিত হয়েছে প্রকৃতি। সেই পুনরুজ্জীবনের উদাহরণ ই এইগুলি বলেও মনে করছেন পরিবেশবিদ গন।

 

অন্যদিকে কিছুদিন আগে পাঞ্জাবের জলন্ধর শহরে ঘরে বসেই ১২৫ মেইল দূরের ধাওলাধর রেঞ্জের তুষারপাত দেখে বিস্মিত হন শহরবাসী। ৩০ বছর পর এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। এরপর আরেকটি ঘটনায়, উত্তরপ্রদেশের সাহারান পুর থেকে দেখা যায় তুষার আচ্ছাদিত হিমালয়, যা অবাক করে তুলেছে বহু শহরবাসী সমেত বিশেষজ্ঞদেরও।