উত্তমকুমার স্পেশাল সেলে বন্দী ফিরহাদ-সুব্রত, বাড়তি নজরদারি রাখছে জেল কর্তৃপক্ষ

গতকাল রাত থেকেই দুই নেতা চিন্তিত থাকায় তাদের শারীরিক অবস্থার দিকে কড়া নজর রাখছে প্রেসিডেন্সি জেল কর্তৃপক্ষ

Advertisement

Advertisement

গতকাল থেকে বঙ্গ রাজনীতি সরগরম হয়ে রয়েছে নারদ মামলার পুনরুত্থান নিয়ে। সোমবার সকালে হিন্দি ফিল্মি কায়দায় ৪ নেতার বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই গোয়েন্দা। তারপর তাদের নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকেলের দিকে নিম্ন আদালত নেতাদের জামিন মঞ্জুর করলেও তার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। রাত্রে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী চার নেতাকে বুধবার অবধি জেল হেফাজতে নেওয়া হয়। তাদেরকে কলকাতা প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই জেলের উত্তমকুমার স্পেশাল সেলে আলাদা আলাদা ঘরে ৪ জনকে রাখা হয়েছিল।

Advertisement

তবে গতকাল মধ্যরাত্রিতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন কামারহাটি বিধানসভার বিধায়ক মদন মিত্র। রাত ৩:৩০ নাগাদ তার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাকে জেল কর্তৃপক্ষ ৩:৪০ নাগাদ জেল থেকে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করে। তিনি বর্তমানে ১০৩ নম্বর রুমে রয়েছেন। আপাতত তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। অন্যদিকে মদন মিত্রের সাথে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে আসেন প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। তাকে উডবার্ন ওয়ার্ডে ১০৫ নম্বর রুমে রাখা হয়েছে। তবে সমস্ত ঘটনার ভিত্তিতে বেশ বিচলিত ফিরহাদ হাকিম। তাকে সকালে জেল চত্বরে চিন্তিত চিত্তে মর্নিং ওয়াক করতে দেখা গেছে। এছাড়াও বেশ চিন্তিত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও। তাকে গতকাল রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে আবার জেলে ফেরত আনা হয়।

Advertisement

নারদ মামলায় ঘটনাপ্রসঙ্গ নিয়ে বেশ চিন্তিত তৃণমূলের ওই নেতারা। সকাল বেলাতেই ফিরহাদ হাকিম ও সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে চিন্তিত দেখা গিয়েছে। গোটা রাত তাদের উদ্বিগ্নে কেটেছে। তাদের চেহারা দেখে এটি স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে। তাই বাড়তি নজর রাখছে জেল কর্তৃপক্ষ। তারা কিছু সময় বাদে বাদে নেতাদের খোঁজ নিচ্ছে যাতে তাদের উদ্বেগ শরীরের ওপর কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া না করে। এমনকি জানা গিয়েছে হয়তো জেল কর্তৃপক্ষ সবাইকে একবার এসএসকেএম হাসপাতালে চেকআপের জন্য নিয়ে যেতে পারে।

Advertisement