রাতের পর সকালে ফের অসুস্থ সুব্রত মুখোপাধ্যায়, তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হল SSKM-এ

গতকাল রাত থেকে জেলের চা জল ছাড়া আর কিছুই খাননি সুব্রত মুখোপাধ্যায়

Advertisement

Advertisement

গতকাল রাত্রে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে বুধবার অবধি জেল হেফাজতে রাখা হয়। তাদেরকে প্রেসিডেন্সি জেলের উত্তমকুমার স্পেশাল সেলে রাখা হয়েছিল। তবে গতকাল মধ্যরাতে শারীরিক অসুস্থতা অনুভব করে মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের সাথে হাসপাতলে এসেছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও। কিন্তু ডাক্তারের পরামর্শে তাকে গতকাল রাতেই আবারও জেলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আজ সকালে জেলে অসুস্থ হয়ে পড়েন পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বেলা ১০ টা নাগাদ পুলিশের গাড়ি করে তাকে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

Advertisement

জেল সূত্রে জানা গিয়েছে গতকাল রাত থেকেই চিন্তিত নেতারা। গোটা রাতে তারা অল্প কিছুক্ষণের জন্য ঘুমিয়েছিলেন। আজ সকাল থেকে সুব্রত মুখোপাধ্যায় জেলের চা জল ছাড়া আর কিছু খাননি। ব্রেকফাস্ট করেননি তারা। আজ জেলের বাইরে দাঁড়িয়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায় নিজেই বলেছেন, “আমি অসুস্থ বোধ করছি। তাই আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে।” অন্যদিকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বাড়ির লোক সিবিআই এর কাছে আবেদন করেছে, “বর্ষিয়ান নেতাকে জেলে নয়, হাসপাতালে রাখা হোক। তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো নেই।” এমনকি গতকাল রাতে সিকিউরিটি মারফত তার ওষুধ জেলের ভিতরে পৌঁছে দেওয়া হয়।

Advertisement

অন্যদিকে গতকাল রাতেই শ্বাসকষ্ট অনুভব করে মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। গতকাল রাত ৩:৩০ নাগাদ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে মদন মিত্রকে জেল কর্তৃপক্ষ ৩:৪০ নাগাদ জেল থেকে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করে। তিনি বর্তমানে ১০৩ নম্বর রুমে রয়েছেন। আপাতত তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছে চিকিৎসকরা। এছাড়া শোভন চট্টোপাধ্যায় উডবার্ন ওয়ার্ডে ১০৫ নম্বর রুমে রয়েছেন।

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামীকাল কলকাতা হাইকোর্টের নারদ মামলায় অভিযুক্ত চার নেতার শুনানি হবে। সিবিআই আগে থাকতেই সেই বিষয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং কলকাতা হাইকোর্টে নেতাদের জামিন হলে তারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে বলে জানা গিয়েছে। তাই ইতিমধ্যেই দিল্লির সিবিআই দপ্তর এর সাথে নিজাম প্যালেস নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রাখছে এবং আইনি জটিলতা থেকে বাঁচতে সিবিআইয়ের আইনজীবীদের সাথে বৈঠক করছে।