বিধানসভা ভোটের আগেই মুকুলের স্থান কী সেই জেলে, ইডির নোটিশ ঘিরে জল্পনা

Advertisement

Advertisement

বাংলা বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়। আসন্ন নির্বাচনে বাংলা গেরুয়া শিবিরের শক্তি বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায়। কিন্তু সম্প্রতি মুকুল রায়ের সম্পত্তির সম্পূর্ণ হিসেব ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে পাঠিয়ে নোটিশ দিয়েছে ইডি। জানা গিয়েছে এর আগেও মুকুল রায়কে তার সম্পত্তি হিসেব চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তারপর তার পাঠানো তথ্য সম্পূর্ন নয় বলে মনে করেছে ইডি। তাই মুকুল রায় ও তার স্ত্রীর সম্পত্তির হিসাব চেয়ে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

আগেকার নোটিশ অনুযায়ী মুকুল রায় ৩১ জুলাই মেল করে বেশ কিছু তথ্য জমা দেয়। কিন্তু তাতে তার একটি মাত্র অ্যাকাউন্টের নথি ছিল। এবার ইডির তরফ থেকে মুকুল রায়ের এবং তার স্ত্রী এর সবকটি অ্যাকাউন্টের নথি জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে ২০১৭-১৮ এবং ২০১৯-২০ এর আইকর রিটার্ন ফাইল জমা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়াও ২০১৩-১৪ সালে তার সম্পত্তির হিসাব দিতে হবে ইডিকে। যদিও বা নতুন নোটিশের চিঠির কথা অস্বীকার করেছেন মুকুল রায়।

Advertisement

এর আগে ২০১৩ সালে সারদাকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছিল সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন। সেই সমইয়ে ইডি র সন্দেহের খাতায় নাম লেখায় একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মীরা। সেই অনুযায়ী মদন মিত্রকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু কোন সময় মুকুল রায় নাম এলেও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু তদন্তকারীদের অনেকেই বলেছেন মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে প্রমাণ আছে বিস্তর। ফলে সারদা মামলা থেকে তার রক্ষা পাওয়া খুব একটা সহজ হবে না।

Advertisement

২০১৭ সালে মুকুল রায় যখন তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে তখন শোরগোল পড়ে যে হয়তো সারদা-কাণ্ড থেকে বাঁচার জন্যই মুকুল রায় দলবদল করছে। কিন্তু সম্প্রতি সামনেই আছে বিধানসভা নির্বাচন। এই মুহূর্তে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোনদিনই তাদের ইমেজ নষ্ট করবে না। যদি মুকুল রায় গ্রেফতার হয়ে যায় তাহলে হয়তো বিজেপির প্রচার করবে তারা দুর্নীতির সাথে কোনদিন আপোস করে না। এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে বঙ্গ রাজনীতিতে কি রদবদল হয়, সেটাই দেখার।

Recent Posts