বেনামে প্রচুর সম্পত্তি ও নগদ টাকা, অনুব্রত মন্ডলকে নোটিশ আয়কর দপ্তরের

কিছুদিন আগে নির্বাচন কমিশন থেকে শোকজ করার পর ফের আয়কর দপ্তরের নিশানায় কেষ্ট দা

Advertisement

Advertisement

একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচন শেষ পর্যায়ে এসে উপস্থিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে ষষ্ঠ দফার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব। আর বাকি দুই দফা নির্বাচন। এই দুই দফা নির্বাচনের মধ্যে রয়েছে বীরভূমের ভোটগ্রহণ পর্ব। তবে বীরভূম ভোটের আগে প্রবল অস্বস্তিতে পরলো তৃণমূল কংগ্রেস। আসলে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের আঙিনায় এবার নোটিস পাঠাল আয়কর দপ্তর। তার সাথে সাথে নোটিশ পাঠানো হয়েছে তার চার আত্মীয়কে। আয়কর দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বেনামে প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের এবং তার কাছে যে পরিমাণ নগর টাকা আছে তা কম কিছু নয়।

Advertisement

কিছুদিন আগে নির্বাচন কমিশনের শোকজের মুখে পড়েছিলেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তারপর আবার ভোট এর মাঝেই পাইকর দপ্তরের রোষের মুখে পড়লেন তিনি। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নোটিশ পাঠিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের আয় ব্যয়, সম্পত্তি ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সমস্ত নথি চেয়ে পাঠিয়েছে আয়কর দপ্তর। আসলে অনুব্রত মন্ডলের বেনামে প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে এবং তার কাছে যে পরিমাণ নগদ টাকা আছে সেটা নেহাত কম নয়। কিছুদিন আগে এমন অভিযোগ দায়ের হয়েছে আয়কর দপ্তরে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই আয়কর দপ্তর অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিশ পাঠিয়েছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডল প্রায় অনু টোটকার কারণে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন। তবে পঞ্চম দফা ভোটের আগে তাকে শোকজ করেছিল নির্বাচন কমিশন। শোকজ এর কারণ ছিল তার ভাষণ দেওয়ার ভঙ্গি। তিনি বিজেপিকে কটাক্ষ করে স্লোগান দিয়ে বলেছিলেন, “বিজেপিকে ঠেঙিয়ে পগারপার”। নির্বাচন কমিশনের এই স্লোগান প্ররোচনামূলক মনে হলে তাকে শোকজ করে। তবে ফের নির্বাচনের মাঝেই পাইকর দপ্তরের জালে আটকে পড়লেন কেষ্টদা।

Advertisement