নিউজ

গন্তব্যে যেতে সময় বাঁচবে দেড় ঘন্টা, এই রুটে নতুন ট্রেন চালু করতে চলেছে পূর্ব রেলওয়ে

বাঁকুড়া থেকে হাওড়া আসার জন্য একটি নতুন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস চালু করতে চলেছে পূর্ব রেলওয়ে

Advertisement

Advertisement

বাঁকুড়া বাসীদের জন্য আবারো নতুন করে সুখবর নিয়ে এলো ভারতীয় রেলওয়ে। এই মুহূর্তে দেশের প্রায় সাড়ে সাত হাজারের কাছাকাছি রেজিস্ট্রেশন থেকে প্রতিদিন ২৭ হাজারের বেশি ট্রেন গন্তব্যের দিকে রওনা দিয়ে থাকে। এই বিপুলসংখ্যক ট্রেনের মধ্যে প্রায় কুড়ি হাজারের বেশি ট্রেন যাত্রীবাহী হয়ে থাকে এবং বাকি ট্রেন পন্যবাহী ট্রেন। প্রতিদিন ভারতের কোটি কোটি মানুষ এই ট্রেনের পরিষেবার উপরে নির্ভরশীল হয়ে থাকেন এবং ট্রেন পরিষেবা কে গণপরিবহনের মেরুদন্ড হিসেবে মনে করা হয়।

Advertisement

খরচ কম এবং স্বাচ্ছন্দভাবে যাতায়াত করার জন্য সমস্ত মানুষ ট্রেনের উপরে অত্যন্ত নির্ভরশীল। তবে অনেক ক্ষেত্রে ঘুর পথে যাতায়াত করার কারণে অনেক সময় সময় বেশি লাগে এবং তা থেকে বিরত থাকতে চান যাত্রীরা। তবে এরকম পরিস্থিতিতে বাঁকুড়া বাসীদের জন্য রয়েছে একটা নতুন সুখবর।

Advertisement

বাঁকুড়ার বাসিন্দারা যাতে তাড়াতাড়ি হাওড়া আসতে পারেন তার জন্য একটি নতুন ট্রেন চালু করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত বাঁকুড়া থেকে যে সমস্ত রুট চলত সেগুলি খুব একটা কোনদিন দিতে পারেনা। তাই এবারে বাঁকুড়া থেকে হাওড়া একটি নতুন ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস চালু করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় রেলওয়ে। মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টাতেই আপনারা বাঁকুড়া থেকে হাওড়ায় পৌঁছে যেতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে ভারতীয় রেলওয়ে তরফ থেকে। এই বিশেষ ট্রেনটি মেদিনীপুর হয়ে খড়গপুর হয়ে ঘুরে নয়, বরং বাঁকুড়া মশাগ্রাম হয়ে সরাসরি হাওড়ায় চলে আসবে। মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যেই আপনারা হাওড়ায় পৌঁছতে পারবেন। ঘুর পথে যেখানে আগে সাড়ে চার ঘন্টা থেকে ৫ ঘণ্টার মতো সময় লাগতো সেই জায়গায় মাত্র সাড়ে তিন ঘন্টার মধ্যে যাওয়া যাবে। অর্থাৎ প্রায় দেড় ঘন্টা সময় বাঁচবে সাধারণ মানুষের।

Advertisement

এই শর্টকাট ট্রেন রুট চালানোর জন্য আগেই প্রাক্তন সংসদ এবং একসময়ের রেলের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান বাসুদেব আচার্য পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। পূর্ব রেলের জিএম তাকে একটি চিঠি দিয়েছেন এবং সেখানে এই ট্রেন চালানোর জন্য আশ্বাস দিয়েছেন। জানা যাচ্ছে, চলতি বছর এই নতুন এই ট্রেনটি চালু হয়ে যাবে এবং এই ট্রেনটি চালু হয়ে গেলে বাঁকুড়ার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষেরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। বিশেষ করে পাত্রসায়ের, সোনামুখী এবং ইন্দাসের মানুষজনকে কলকাতা আসতে বাঁকুড়া না হলে দুর্গাপুর এসে তারপর পুনরায় ট্রেন ধরতে হয়। সেই সমস্যা এবার থেকে আর হবে না।