লকডাউনে বন্ধ গৃহশিক্ষকতা, অভাবে দিনযাপন গৃহশিক্ষকদের

Advertisement

Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – উচ্চ শিক্ষা লাভ করে চাকরি না পেয়ে অনেকেই বেছে নিয়েছেন গৃহশিক্ষকতার কাজ। অনেকে আবার অন্যান্য কাজের পাশাপাশি সখের এই কাজটি করে থাকেন। আবার কারুর কারুর রুটি-রোজগারের প্রধান মাধ্যম হলো গৃহশিক্ষকতা। যারা সখে করেন তাদের প্রসঙ্গ নয় থাকলো, কিন্তু যাদের রুটি-রোজগারের প্রধান মাধ্যম এই গৃহশিক্ষকতা, লকডাউনের জেরে তাদের পড়ানো প্রায় বন্ধ। অনেকেই নিজের বাড়িতে টিউশন পড়ান, আবার কেউ কেউ বাড়ি ভাড়া করে টিউশন পড়ান।

Advertisement

বাড়ি ভাড়া করে যারা পড়ান ছাত্র-ছাত্রী আসুক বা না আসুক ভাড়া তাদের দিতেই হবে, সংসার সামলে, বাড়ি ভাড়া দিয়ে মাসের শেষে যদি টাকা উপার্জন না হয় তাহলে কেমন পরিস্থিতি হতে পারে তা একমাত্র এরাই জানেন। অনেকেই শুরু করেছেন অনলাইন ক্লাস করতে, তবে ইন্টারনেটের করুন দুর্দশার জন্য এইভাবে ক্লাস নেওয়াটাও অসম্ভব হয়ে পড়ছে। লকডাউন ৩রা মে পর্যন্ত বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে এপ্রিল মাসে পড়ানোর টাকা পাওয়ারও কোন সম্ভাবনা নেই। অনেকেই হয়তো এই টিউশনির টাকায় নিজের পড়াশোনার খরচ চালায়।

Advertisement

লকডাউন এর ফলে টিউশন বন্ধ হওয়ার জন্য নিজেদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাবে না তো? এমন ভয় অনেকেই পাচ্ছেন। জমানো টাকায় হাতও দিয়েছেন অনেকে। এইভাবে জমানো টাকা খরচ করে কতদিন চলতে পারে? সবমিলিয়ে অধিকাংশ গৃহ শিক্ষকদের এখন দুর্বিষহ অবস্থা। লকডাউন না উঠলে তাদের এই সমস্যার সমাধান কিভাবে হবে তা জানা নেই। তবে গৃহ শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে যদি সাতজনের কম ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে ছোট ছোট ব্যাচ করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তারা পড়াতে পারেন, তাতে ছাত্র ছাত্রী এবং শিক্ষক দুজনেই উপকৃত হবেন। তবে গৃহশিক্ষকের সংগঠন থেকে কিছু দুস্থ গৃহ শিক্ষকদের সাহায্য করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

Advertisement

Recent Posts