রাজ্যে সর্বত্র নিষিদ্ধ বাজি, কালীপুজো, ছটপুজো, জগদ্ধাত্রী পুজোতে দুর্গাপুজোর মতোই একই বিধিনিষেধ আরোপ কলকাতা হাইকোর্টের

Advertisement

Advertisement

কলকাতা: আর মাত্র কয়েক দিনের অপেক্ষা। তারপরেই আলোর উৎসবে ভাসবে গোটা রাজ্য। কিন্তু এ বছর আলোর উৎসব অর্থাৎ দীপাবলি আলো ছাড়াই পালন করতে হবে, এমনটাই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই রায়ের অর্থ হল, গোটা রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে কোনওরকম বাজি ফাটানো এ বছর যাবে না। শুধু বাজি ফাটানো নয়, বাজি বিক্রির ক্ষেত্রেও কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে। কোনওরকম বাজি বিক্রি করা চলবে না। এমনকি যেসব জায়গায় বাজি বাজার বসে সেসব জায়গায় বাজি বাজার বসতে পারবে না। কোনও বিক্রেতা বাজির দোকান দিয়ে বাজি বিক্রি করতে পারবে না। বাজি বিক্রি করলে বা বাজি কিনলেই সেটা বেআইনি হবে, এমনটাই ঘোষণা করল হাইকোর্ট।

Advertisement

এদিনের মামলায় বাজি নিষিদ্ধ করা যেমন একদিকে ছিল, তেমন অন্যদিকে ছিল কালীপুজো, ছটপুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজোতে কী কী বিধিনিষেধ আরোপ করে উৎসব পালন করা হবে? এক্ষেত্রে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুর্গাপূজায় হাইকোর্ট যা যা বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল, সেগুলিই কালীপুজো, ছটপূজো, জগদ্ধাত্রী পুজো এবং কার্তিক পুজোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য থাকবে বলে জানা গিয়েছে। প্রত্যেক মণ্ডপে ৫ মিটার দূরত্ব থাকবে। মণ্ডপে থাকবে দুর্গাপুজোর মত ‘নো এন্ট্রি জোন’। এমনকি বারাসাত, নৈহাটি কালী পুজোর জন্য বিখ্যাত, সেখানেও দর্শকশূন্য থাকবে মণ্ডপ। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রীপুজো এবং বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক পুজোর ক্ষেত্রেও একই নির্দেশ প্রযোজ্য থাকবে।

Advertisement

কোনও পুজোতেই বিসর্জনের জন্য শোভাযাত্রা করা যাবে না। এমনকি শোভাযাত্রায় যে বাজির রোশনাই দেখা যায়, তাও এ বছর দেখা যাবে না। ছটপুজোয় দল বেঁধে গঙ্গার ধারে গিয়ে রীতি আচার অনুষ্ঠান করা যাবে না। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সংখ্যক লোক বেঁধে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে, তাতে বাজির ন্যূনতম ধোঁয়া মানুষের শরীরে ক্ষতি করতে পারে। এ কথা মাথায় রেখেই বাজি পুরোদমে নিষিদ্ধ করল কলকাতা হাইকোর্ট। এমনকি দুর্গাপুজোয় যে সমস্ত বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে, সেগুলোই বহাল থাকল দীপাবলি, কালী পুজো, কার্তিক পুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজোতে।

Advertisement