বিতর্ক আসানসোলের বিধায়কের চিঠিকে ঘিরে, ‘এইসব করা আগে উচিৎ ছিল আমার সাথে কথা বলা’, বক্তব্য ফিরহাদের

Advertisement

Advertisement

এইদিন আসানসোলের বিধায়ক তথা পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারির চিঠি পেয়ে এক প্রকার অস্বস্তির মধ্যেই মুখ খুলতে দেখা গেল পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। এইদিন জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ‘ভাই’ বলে উল্লেখ করে ফিরহাদ বলেন, এইসব করার আগে উচিৎ ছিল চিঠিচাপটি করার আগে কথা বলা উচিৎ ছিল। এছাড়া এইদিন ফিরহাদ আরও বলেন, কেউ বিজেপিতে যেতে চাইলে যাবেন।

Advertisement

সোমবার প্রকাশ্যে এসেছে তিওয়ারির পাঠানো চিঠির বয়ান। সেখানে আসানসোলে পাঠানো কেন্দ্রীয় প্রকল্পের ২,০০০ কোটি টাকার বঞ্চনার বিষয়ে রাজ্য সরকারের দিকে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে তিওয়ারিকে। এইদিন তিনি কাঠগড়ায় তোলেন ফিরহাদ হাকিমকে। তার বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের স্মার্ট সিটি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল ২,০০০ কোটি টাকা। রাজনৈতিক কারণে সেই টাকা পায়নি আসানসোলের মানুষ। বদলে ক্ষতিপূরণ দেবেন বলেছিল ফিরহাদ হাকিম, এমনটাও লেখা ছিল চিঠিতে। কিন্তু তা ও দেওয়া হয়নি।

Advertisement

এই চিঠির সাথে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক সমালোচনা। সমস্যা তৈরি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। এই দিন রাজনৈতিক কারণে সরকারি মন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। তারপর সরকারি সুপারিশে প্রাপ্ত পদ থেকে ইস্তফা দিলেন আসানসোলের পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সোমবার সকালে রানিগঞ্জ মহিলার কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এর পরেই তার ইস্তফার কথা শুনে কলেজের সামনে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। ইস্তফা পত্রে এইদিন নেতা লিখেছেন,”ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ব্যস্ততার জন্য রানিগঞ্জ মহিলা কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি চাইছি।”

Advertisement

অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিমকে পাঠানো চিঠির বিষয়কে নিয়ে এই দিন দিলীপ ঘোষ বলেন,”এতো দেখছি ভূতের মুখে রাম নাম। এতদিন তো এই অভিযোগ করত বিরোধীরা। এখন ভোটের মুখে মানুষের সামনে যেতে নিজের পিঠ বাঁচাতে এমন করছেন তৃণমূল নেতারা।”